গ্যাস সংকটে শিল্প খাতে বিপর্যয়গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ৮৫৮দুর্ঘটনায় বাসে আগুন, পুড়ে নিহত ৩৮দ্রুততম সময়ে নির্বাচনের পক্ষে বিএনপির শরিকরাসাগরে নিম্নচাপ, সমুদ্রবন্দরে সতর্ক সংকেত
No icon

দীর্ঘ হচ্ছে লেখাপড়ার ক্ষতি

প্রাকৃতিক বা মানব সৃষ্ট যে কোনো দুর্যোগ-দুর্বিপাকে অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হয় শিক্ষা খাত। গত ১০ দিন ধরে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এর আগে কোভিড-১৯ মহামারি, তীব্র শৈত্যপ্রবাহ কিংবা দাবদাহে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও সচল ছিল দূরশিক্ষণ পদ্ধতি। এবার ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্র করে ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অফলাইনের সঙ্গে অনলাইন ক্লাসও বন্ধ। কবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে, সুনির্দিষ্ট বার্তা নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের বন্ধের কারণে বার বার স্থগিত করা হচ্ছে চলমান এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। বিলম্ব হচ্ছে নতুন সেশনে উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি ও ক্লাস শুরুর কার্যক্রমও। সেশনজটের শঙ্কার পাশাপাশি বেশির ভাগ বিশ^বিদ্যালয়ে আটকে আছে ভর্তির কার্যক্রমও। ফলে শিক্ষা খাতের অপূরণীয় ক্ষতি আর কত দীর্ঘ হবে, তা নিয়ে চিন্তিত সংশ্লিষ্টরা। তবে ইন্টারনেট পুরোপুরি সচল হলে আগামী সপ্তাহ থেকে অনলাইন ক্লাস চালুর নির্দেশ দিতে পারে শিক্ষা প্রশাসন, যদিও তা প্রত্যক্ষ বা অফলাইন শিক্ষার সঠিক বিকল্প হয় না।শিক্ষকরা জানান, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষাবর্ষের সাত মাস অতিবাহিত হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় এখন পুরোদস্তুর লেখাপড়ার সময়। অথচ বন্ধ প্রতিদিনের ক্লাস ও পরীক্ষা। এর আগে চলতি বছর শুরুতে শৈত্যপ্রবাহের কারণে বিঘিত হয় ক্লাস ও শ্রেণি কার্যক্রম। কিছু দিন তীব্র দাবদাহে ছিল ক্লাস বন্ধ। এ ছাড়া সাধারণ সাপ্তাহিক, উৎসব ছুটিতে এমনি বন্ধ থাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই অবস্থায় ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বেশি দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে লেখাপড়ার ক্ষতি আরো দীর্ঘ হবে। এ

অবস্থায় সশরীরে লেখাপড়ার পাশাপাশি

দূরশিক্ষণ পদ্ধতিতে জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষাবিদরা।উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে নিরাপত্তা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করে পাঠদান শুরুর জন্য ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। আগের দিন বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়টি এ মুহূর্তে বিবেচনা করা হবে না।সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ১৬ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান) শ্রেণি কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ১৭ জুলাই বন্ধ ঘোষণা করা হয় আট সিটি করপোরেশন এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়। এরপর গত বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সারা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ও পরবর্তী ঘোষণা দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া প্রসঙ্গে গতকাল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক প্রফেসর নেহাল আহমেদ বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত এখনো নেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে আমরা আশা করছি আগামী সপ্তাহে ইন্টারনেট সচল হলে অনলাইন ক্লাস নেওয়ার নির্দেশনা দেব।