ফরিদপুরে বাস-পিকআপভ্যান সংঘর্ষে নিহত ১১গরমে বাড়ছে ডায়রিয়া, জ্বরবিভিন্ন স্থানে শিলাবৃষ্টির পূর্বাভাসআজ থেকে স্বাভাবিক নিয়মে চলবে ব্যাংকের লেনদেনইরানে পাল্টা হামলার সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের
No icon

নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে যা করতে হবে জানালো মাউশি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে সংশ্লিষ্টদের করণীয় বিষয়ক একগুচ্ছ নির্দেশনা পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। মঙ্গলবার মাউশির ওয়েবসাইটেও এই নির্দেশনাপত্রটি প্রকাশ করা হয়েছে।মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে করণীয় নির্ধারণ করে পাঠানো হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের করণীয়:

নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাওয়া এবং শ্রেণি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা। সঠিক সময়ে পড়াশুনা করা, খাওয়া, ঘুমানো এবং মানসিক বিকাশের জন্য খেলাধুলায় অংশ নেয়া। এনসিটিবি কর্তৃক প্রণীত পাঠ্যপুস্তক ও সম্পূরক পঠন সামগ্রী পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা।নতুনকে গ্রহণ করার উপযুক্ত মানসিকতা বজায় রাখার চেষ্টা করা। সরকার প্রদত্ত শিখন সামগ্রী যথাসময়ে সংগ্রহ করা। শ্রেণিকক্ষে এবং শ্রেণিকক্ষের বাইরে একটিভ বেইজড লার্নিং কার্যক্রমে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করা। বিদ্যালয় শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে শ্রেণি শিক্ষকের সঙ্গে আলাপ করা। অবসর সময়ে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ সৃজনশীল বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা।শিখন সংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয় নিয়ে অভিভাবকের (মা/বাবা) সঙ্গে কথা বলে পরামর্শ গ্রহণ করা। নিজের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে শিখনের সর্বক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করা। দলগত কাজে সহপাঠীদের মূল্যায়নে নিরপেক্ষতা, সততা এবং নৈতিকতা বজায় রাখা।স্কুলে শিক্ষার্থীদের জন্য গঠিত ক্লাবগুলোর মধ্যে অন্তত দুটি ক্লাবে নিজেকে সম্পৃক্ত করা।

অভিভাবকদের করণীয়:

সন্তানদের/শিক্ষার্থীদের নিজের এবং বাড়ির ছোট ছোট কাজগুলো করানোর বিষয়ে উৎসাহ দেয়া। সন্তানদের/শিক্ষার্থীদের সময় দেয়া, তাদের গতিবিধি লক্ষ্য করা। সন্তানদের/শিক্ষার্থীদের ভালো কাজে উৎসাহ দেয়া এবং ভুল/অপ্রয়োজনীয় কাজকে নিরুৎসাহিত করা। কারিকুলাম বিস্তরণে অভিভাবকদের যে দায়িত্ব তা সঠিকভাবে পালন করা।সন্তানদের/শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করা। সন্তানদের/শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট/কোচিং এ নিরুৎসাহিত করা। সন্তানদের/শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়ে নিরপেক্ষতা, সততা এবং নৈতিকতা বজায় রাখা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত থাকা।

শ্রেণি শিক্ষকদের করণীয়:

টিচার্স গাইড ও পাঠ সংশ্লিষ্ট উপকরণসহ শিখন শেখানো কার্যক্রম পরিচালনা করা। গতানুগতিক শিক্ষককেন্দ্রিক পদ্ধতি পরিহার করে সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করা। প্রকৃতপক্ষে প্রচলিত ভূমিকার ঊর্ধ্বে গিয়ে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক হয়ে উঠবেন সহ-শিক্ষার্থী। হোম ভিজিট ও উঠান বৈঠক করা।প্রকল্পভিত্তিক কাজ ও অনুসন্ধানমূলক কাজে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, ডায়রি ব্যবহারে উৎসাহিত করা।শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জন্য সহয়তামূলক একীভূত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিখন পরিবেশ নিশ্চিত করবেন যাতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিখনের উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। শ্রেণি শিক্ষক যে সব সমস্যা চিহ্নিত করবেন, তা নিয়ে প্রতি সপ্তাহে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সাপ্তাহিক সভায় আলোচনা করা ও সমস্যা সমাধানের কৌশল নির্ধারণ করা। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করা।স্লো লার্নার ও অ্যাডভান্স লার্নার চিহ্নিত করে সে অনুযায়ী শিখন কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং তাদের শিখন পরিস্থিতি উন্নয়নে কার্যকর কৌশল প্রয়োগ। মূল্যায়নের মূলনীতি অনুসরণ করে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন যোগ্যতার মূল্যায়ন নিশ্চিতকরণ ও মূল্যায়নের ধারাবাহিক রেকর্ড সংরক্ষণ।শিক্ষার্থীদের দলগত কাজসহ সামগ্রিক মূল্যায়নে নিরপেক্ষতা, সততা এবং নৈতিকতা বজায় রাখা। শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক শিখন পরিবেশ তৈরি করতে শিক্ষককে মূলত ফ্যাসিলটরের ভূমিকা পালন করা।শ্রেণি কক্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে কারিকুলাম সংশ্লিষ্ট বাস্তব জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা আদান প্রদানের একটা অনুকূল পরিবেশ তৈরি করা।