
কোনো ধরনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এবং প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা ছাড়া নিয়োগ পাওয়া অনেককে ছাঁটাই করছে বিভিন্ন ব্যাংক। তবে সে হারে নতুন নিয়োগ হচ্ছে না। এতে ব্যাংক খাতে কর্মীর সংখ্যা কমেছে। বেশি কমেছে নারী কর্মী। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত জুনভিত্তিক হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন পর্যন্ত ব্যাংক খাতে মোট কর্মীর সংখ্যা কমে ২ লাখ ১৩ হাজার ২৬৭ জনে নেমেছে। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত যা ছিল ২ লাখ ১৪ হাজার ২৪৫ জন। অর্থাৎ গত ৬ মাসে কমেছে ৯৭৮ জন। মূলত বেসরকারি খাতের ব্যাংকে দুই হাজারের বেশি নারী কর্মী কমার প্রভাবেই সামগ্রিকভাবে কর্মীর সংখ্যা কমেছে।ব্যাংক খাতে গত জুন শেষে নারী কর্মীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫ হাজার ৭৮২ জন। মোট কর্মীর যা ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ছয় মাস আগে যেখানে নারী কর্মী ছিলেন ৩৭ হাজার ৬৪৯ জন। মোট কর্মীর যা ছিল ১৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এর মানে ৬ মাস আগের তুলনায় নারী কর্মী কমেছে এক হাজার ৮৬৭ জন। একই সময়ে পুরুষ কর্মীর সংখ্যা ৮৮৯ জন বেড়ে এক লাখ ৭৬ হাজার ৫৯৬ জনে ঠেকেছে। ৬ মাস আগে যা ছিল এক লাখ ৭৭ হাজার ৪৮৫ জন।
রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক, বিশেষায়িত ও বিদেশি ব্যাংকে নারী কর্মী বাড়লেও বেসরকারি খাতের ব্যাংকে ২ হাজার ১৪ জন কমে ২৪ হাজার ৫০ জনে নেমেছে। গত ডিসেম্বরে যা ছিল ২৬ হাজার ৬৪ জন। রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকে ৮৩ জন বেড়ে ৮ হাজার ৭৪৮ জন হয়েছে। বিশেষায়িত ব্যাংকে ৬০ জন বেড়ে এক হাজার ৯৫২ জনে ঠেকেছে। বিদেশি ব্যাংকে নারী কর্মী চারজন বেড়ে ১ হাজার ৩২ জনে ঠেকেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, বিগত সরকারের সময়ে কোনো ধরনের পরীক্ষা ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই বিভিন্ন ব্যাংকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। সরকার পরিবর্তনের পর তাদের অনেকে চাকরি হারিয়েছেন। অনেকেই আর ব্যাংকে আসছেন না। তাদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ নারী। যে কারণে ব্যাংকের চাকরিতে তাদের অংশ কমেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বেসরকারি ব্যাংকের প্রভাবে চাকরিতে নারীর অংশ কমলেও উচ্চ পর্যায়ে বেড়েছে। জুন পর্যন্ত উচ্চ পর্যায়ে কর্মরতদের মধ্যে নারীর অংশ ১০ দশমিক ২৫ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে যা ছিল ৯ দশমিক ৭৩ শতাংশ। মধ্যবর্তী পর্যায়ের কর্মরতদের মধ্যে ১৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ নারী। গত ডিসেম্বরে যা ছিল ১৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। প্রারম্ভিক পর্যায়ে ১৮ দশমিক ৮৭ শতাংশ থেকে কমে ১৭ দশমিক ৬৬ শতাংশে নেমেছে। পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের মধ্যে ১২ দশমিক ৯৭ শতাংশ এখন নারী। গত ডিসেম্বরে যা ছিল ১৩ দশমিক ৬১ শতাংশ।