
নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণ ও বিনিয়োগকারীদের আস্থা পুনরুদ্ধারে সরকারকে ২০২৫ ২৬ অর্থবছরের আসন্ন বাজেটে একটি পূর্বানুমানযোগ্য করনীতি এবং স্থিতিশীল করপোরেট করহার প্রণয়ন করতে হবে। পাশাপাশি একটি অনুকূল ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে চলমান সংস্কারগুলো প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) সভাপতি ও ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেডের (ইউবিএল) চেয়ারম্যান জাভেদ আখতার আগামী বাজেট নিয়ে তার প্রত্যাশা ব্যক্ত করতে গিয়ে এ কথা বলেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জাগো নিউজের বিশেষ প্রতিবেদক ইব্রাহীম হুসাইন অভি।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট কেমন হওয়া উচিত?
আশা করি আগামী বাজেটে নেওয়া সরকারের পদক্ষেপ একটি সুন্দর ব্যবসায়িক পরিবেশ দেবে, যা ব্যবসার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করবে না। তবে, কিছু বিষয় আছে যা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে প্রতিফলিত হওয়া উচিত।আমাদের প্রচলিত ধারণা শুল্ক বিভাগের কাজ হলো কর আদায় করা। মূলত শুল্ক বিভাগের প্রধান কাজ ব্যবসা পরিচালনা আরও সহজ করার লক্ষ্যে আমদানি পণ্যের দ্রুত ও ঝামেলাহীন খালাস নিশ্চিত করা প্রথমত, দেশে পরোক্ষ কর অনেক বেশি। আমাদের বেশি প্রত্যক্ষ করের দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত। কারণ, এটি কর ফাঁকি ও দুর্নীতি বন্ধ করে।দ্বিতীয়ত, আমাদের ভ্যাট ব্যবস্থা খুবই জটিল। একটি সমন্বিত বা একক ভ্যাটহার কীভাবে প্রবর্তন করা যায়, তা নিয়ে ভাবতে হবে। এটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য আমাদের একটি পরিষ্কার কর্মপরিকল্পনা বা রোডম্যাপ প্রয়োজন, যা পর্যায়ক্রমে ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হবে। এটি সব খাতের জন্য একটি একক ঐক্যবদ্ধ ভ্যাটহার প্রবর্তন করতে সাহায্য করবে। এটা করা গেলে কর আদায় বাড়বে এবং ব্যবসায়ীদের জন্য সুবিধাজনক হবে।তৃতীয়ত, আমাদের প্রচলিত ধারণা শুল্ক বিভাগের কাজ হলো কর আদায় করা। মূলত শুল্ক বিভাগের কাজ হলো কর আদায় প্রক্রিয়া সহজতর করা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ও বাণিজ্য সুবিধা নিশ্চিত করা। শুল্ক বিভাগের প্রধান কাজ ব্যবসা পরিচালনা আরও সহজ করার লক্ষ্যে আমদানি পণ্যের দ্রুত ও ঝামেলাহীন খালাস নিশ্চিত করা।
চতুর্থত, একটি ডিজিটাল কর সংগ্রহ পদ্ধতি তথা ইকোসিস্টেম তৈরি করা। এই পদ্ধতিতে একাধিক প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে নিজস্ব তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে কাজ করতে পারবে। যাকে বলা যায় ইন্টারঅপারেবল। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে কর্তৃপক্ষ পরিমাপ করতে পারে যে একজন ব্যবসায়ী কী পরিমাণ পণ্য আমদানি করেন এবং এর ওপর কর বা ভ্যাট কত। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি স্বচ্ছ তথ্য দেয়। সুতরাং, ডিজিটাল কর সংগ্রহ পদ্ধতি কার্যকর করতে পদক্ষেপ দরকার।পঞ্চমত, যথাযথভাবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য আমাদের সামগ্রিক পরিচালনার মান ও শ্রম অধিকার উন্নত করতে হবে।