ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে ভোগ্যপণ্য আমদানিতে তৃতীয় দেশের দিকে নজর দিয়েছেন আমদানিকারকরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পিঁয়াজ, চিনি, চাল, গম, ডালসহ প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য আমদানিতে তাঁরা পরিবর্তন করছেন রপ্তানিকারক দেশ।এ বিষয়ে গতকাল খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগীর আহমেদ বলেন, পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের একটি দেশের ওপর নির্ভরতা থাকে না। অনেক ক্ষেত্রে পণ্যের বুকিং রেটের ওপর নির্ভর করে পণ্য আমদানির দেশ পরিবর্তন হয়। আমাদের দেশে ভোগ্যপণ্যের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভারত থেকে আমদানি হলেও বিকল্প দেশগুলো থেকেও আমদানি হয় মাঝেমধ্যে। আমদানির ক্ষেত্রে বিকল্প চিন্তা সব সময় থাকে ব্যবসায়ীদের। বর্তমানে ভারতের পরিবর্তে অন্য দেশ থেকে পিঁয়াজসহ কিছু কিছু পণ্য আমদানি হচ্ছে।ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশের প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের সর্বোচ্চসংখ্যক আমদানি হচ্ছিল প্রতিবেশী ভারত থেকে। ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি আমদানি ভোগ্যপণ্যের মধ্যে ছিল পিঁয়াজ, আলু, চিনি, দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, সূর্যমুখী, সয়াবিনসহ ভোজ্য তেল, আদা, হলুদ, গম, মরিচ, মধু, কোমল পানীয়, চিপস, বিস্কুট, চকলেট ও ক্যান্ডি জাতীয় খাবার। কিন্তু ৫ আগস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর হ্রাস পেতে থাকে ভারত থেকে পণ্য আমদানি। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে তৃতীয় দেশের দিকে নজর দিয়েছেন।
সূত্র জানান, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পিঁয়াজ ও আলু আমদানিতে পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া মিয়ানমার থেকে চাল, হলুদ, আদা, পিঁয়াজ আমদানির স্থায়ী প্রক্রিয়া চলছে। অন্যদিকে চীন থেকে গম, চিনি, ভোজ্য তেল; পাকিস্তান থেকে চাল, চিনি, জিরা, মরিচ; ইন্দোনেশিয়া, আফগানিস্তান, সিরিয়া, তুরস্ক থেকে মসলা জাতীয় পণ্য; রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে ভুট্টা; ব্রাজিল থেকে গম, চিনি এবং থাইল্যান্ড থেকে চাল আমদানিতে মনোযোগী হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, খাতুনগঞ্জে আমদানি হওয়া ভোগ্যপণ্যের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক আসে ভারত থেকে। কিন্তু দুই দেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে ভারত থেকে পণ্য আমদানিতে ব্যাঘাত ঘটতে চলেছে। তাই তৃতীয় দেশ থেকে পণ্য আমদানি শুরু হয়েছে।