উত্তরায় মাইলস্টোন কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত ১৯, আহত দেড় শতাধিক৪৮তম বিশেষ বিসিএসের ফল প্রকাশইসরায়েলি সেনার গুলিতে প্রাণ গেল ত্রাণ নিতে আসা আরও ৬৭ ফিলিস্তিনিরউত্তরের নদ-নদীতে বাড়ছে পানি, বন্যার শঙ্কাপ্রগতি ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা
No icon

উত্তরের নদ-নদীতে বাড়ছে পানি, বন্যার শঙ্কা

উজানে টানা ভারি বর্ষণের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলে তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রসহ একাধিক নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। ফলে এসব নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চর এলাকায় বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি এলাকায় পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। তবে এখনও সরকারি পর্যায়ে আগাম সতর্কতা ও প্রচারাভিযান শুরু না হওয়ায় নদীপাড়ের মানুষজন পড়েছেন উৎকণ্ঠায়।বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়,  রোববার সন্ধ্যা ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানিপ্রবাহ ছিল ৫২ দশমিক ০৮ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার (৫২.১৫ সেমি) মাত্র ৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নদীর পানিপ্রবাহ উল্লেখযোগ্যহারে বেড়েছে।

রংপুরের গঙ্গাচড়ার চরাঞ্চলের বাসিন্দা একরামুল হক বলেন, সকাল থেকেই পানি বাড়ছে। রাতের মধ্যে বন্যা হতে পারে। আমরা খুব চিন্তায় আছি। একই এলাকার নয়া মিয়া জানান, গত রাত থেকেই নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে গঙ্গাচড়ার অন্তত সাতটি ইউনিয়নের নিচু চরাঞ্চলে পানি ঢুকেছে।কুড়িগ্রামে চরের বাসিন্দারা বলছেন, পানি বাড়লেও কোনো ধরনের সতর্কবার্তা তারা পাননি। চর ভগবতীপুরের বাসিন্দা রশিদ আলী বলেন, আজ রাইত থাকি নদীত পানি বাড়তেছে। কিন্তু কোনো সরকারি লোক দেখি নাই, মাইকও বাজে না।রাজারহাটের তিস্তা পাড়ের আসাদুজ্জামান বলেন, পানি বাড়তেছে, কিন্তু আগাম প্রস্তুতির ব্যাপারে কিছু শুনি নাই। চরের মানুষ নিজের মতো করে প্রস্তুতি নেয়।পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, তিস্তা নদী সংলগ্ন রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী ও লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানায়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, অরুণাচল ও মেঘালয়ে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের রংপুর ও সিলেট বিভাগে নদনদীর পানি বাড়ছে। তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারসহ ব্রহ্মপুত্রের পানিও গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে।কুড়িগ্রাম পাউবো সূত্র জানায়, ধরলায় ৪ সেমি, দুধকুমারে ১৮ সেমি, ব্রহ্মপুত্রে ২১ সেমি ও তিস্তায় ১৪ সেমি পানি বেড়েছে।কুড়িগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আব্দুল মতিন বলেন, সরকারিভাবে প্রস্তুতি আছে, তবে এখনও আগাম প্রচারণা শুরু হয়নি। পরিস্থিতি বুঝে চরাঞ্চলে প্রচার চালানো হবে।স্থানীয়রা জানান, কয়েক সপ্তাহ আগেও নদীতে পানি না থাকায় খরার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এখন হঠাৎ পানি বাড়ায় পাকা ধান ও সবজির জমি ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে জানান কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের কৃষকরা।