শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধালেবাননে ইসরায়েলের ৮ শতাধিক সেনা নিহতদেশে গ্যাস উৎপাদন কমছেচালানোর সক্ষমতা নেই এমন কারখানা বন্ধ করা হবেসংসদ ও স্থানীয় নির্বাচনে ‘একবারে’ ভোটগ্রহণের প্রস্তাব
No icon

বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য পাঁচ বছরের সর্বনিম্নে নামবে

আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম ২০২৫ সালে পাঁচ বছরের সর্বনিম্নে নামবে। তবে তা কভিডের আগের পাঁচ বছরের গড় দামের চেয়ে ৩০ শতাংশ বেশি থাকবে। বিশ্বব্যাংকের এমন অনুমানের পেছনে জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়াকে অন্যতম কারণ মনে করা হচ্ছে। পণ্যমূল্যের গতিপ্রকৃতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে (কমোডিটি মার্কেট আউটলুক, অক্টোবর, ২০২৪) এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০২৪ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত বৈশ্বিক পণ্যমূল্য প্রায় ১০ শতাংশ কমবে। ২০২৫ সালে খাদ্যের দাম ৯ শতাংশ এবং জ্বালানির দাম ৬ শতাংশ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর জন্য মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সহজ করতে সহায়ক হবে। গত বছর মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের কারণে তেলের দাম বড় ওঠানামা করে। যদি এই সংঘাত না বাড়ে তাহলে ২০২৫ সালে অপরিশোধিত তেলের গড় দাম প্রতি ব্যারেল ৭৩ ডলার হবে, যা চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। চলতি বছরে গড় দর ৮০ ডলার। তবে সংঘাত বেড়ে গেলে জ্বালানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটাতে পারে এবং খাদ্য ও তেলের দাম বাড়াতে পারে। বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইন্দরমিত গিল বলেছেন, পণ্যের দাম কমে যাওয়া এবং সরবরাহের ভালো অবস্থা ভূরাজনৈতিক সংঘাতের ধাক্কা থেকে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করতে পারে।

 আগামী বছর বৈশ্বিক তেলের সরবরাহ দৈনিক চাহিদার চেয়ে গড়ে ১ কোটি ২০ লাখ ব্যারেল বেশি হবে। কেবল ২০২০ সালে মহামারি এবং ১৯৯৮ সালের তেলের মূল্যে ধসের সময় সরবরাহ এত ছাড়িয়ে গিয়েছিল। নতুন অতিরিক্ত সরবরাহের বড় কারণ চীনের অর্থনীতিতে ধীরগতি। শিল্প উৎপাদন কমে যাওয়া এবং এলএনজিচালিত ট্রাক ও বৈদ্যুতিক যানবাহনের বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় চীনে তেলের চাহিদা স্থবির হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া ওপেক প্লাস -এর বাইরের অনেক দেশ তেল উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। ওপেক প্লাস নিজেই ৭০ লাখ ব্যারেল দৈনিক অতিরিক্ত ক্ষমতা ধরে রেখেছে, যা ২০১৯ সালের মহামারির আগের তুলনায় দ্বিগুণ।বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ডেপুটি চিফ ইকোনমিস্ট ও প্রসপেক্টস গ্রুপের পরিচালক আয়হান কোসে বলেন, সৌভাগ্যক্রমে বৈশ্বিক অর্থনীতি এখন বড় তেল সংকট সামলানোর জন্য আগের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থায় রয়েছে। এ কারণে উন্নয়নশীল অর্থনীতির নীতিনির্ধারকদের জন্য কিছু সুযোগ তৈরি করেছে। প্রথমত, কমতে থাকা পণ্যদ্রব্যের দাম মুদ্রানীতির জন্য সহায়ক হতে পারে। দ্বিতীয়ত, নীতিনির্ধারকদের জন্য ব্যয়বহুল জীবাশ্ম জ্বালানির ভর্তুকি কমানোর সুযোগ রয়েছে।