১৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাঁপছে নীলফামারী খালেদা জিয়াকে ওমরাহ’র আমন্ত্রণ জানিয়েছে সৌদি যুবরাজতিতাসে গ্রাহক ভোগান্তি বাড়ছেসকালে কুয়াশা দুপুরে কড়া রোদ, ক্ষতির মুখে চাষিআদানি ইস্যুতে পার্লামেন্টে তুমুল হট্টগোল
No icon

ক্যাপিটাল গেইন নিয়ে অস্থির শেয়ারবাজার

ক্যাপিটাল গেইন আরোপ নিয়ে অস্থির হয়ে উঠেছে শেয়ারবাজার। এতে করে প্রায় প্রতিদিন সূচক এবং লেনদেনে নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরে শেয়ারবাজারে টানা পতনে বিনিয়োগকারীরা বড় লোকসানের মধ্যে পড়েছেন। এর মধ্যে একটি দাতা সংস্থার পরামর্শে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্যাপিটাল গেইন (মূলধনি মুনাফা) আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এ খবরে শেয়ারবাজার চরম অস্থির হয়ে উঠেছে। এ কারণে দুইমাসের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক প্রায় ৬০০ পয়েন্ট কমেছে। লেনদেনের হার ৬০০ কোটি টাকা থেকে ৩০০ কোটিতে নেমেছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে দেশের শেয়ারবাজার ক্রান্তিকাল চলছে। এ পরিস্থিতিতে ইনসেনটিভ না দিয়ে নতুন করের বোঝা চাপালে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আরও অনাস্থা তৈরি হতে পারে। বাজার যখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে, তখন সরকার বা এনবিআর নতুন কোনো কর আরোপের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

শেয়ারবাজার বিনিয়োগ থেকে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ৪০ লাখ টাকার বেশি মুনাফার ওপর কর আরোপের কথা ভাবছে এনবিআর। সংস্থাটি আগামী (২০২৪-২৫) অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে চায়। সেক্ষেত্রে করের হার হতে পারে ১৫ শতাংশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শেই এ উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ খবরে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে শেয়ারবাজারে। অবশ্য, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ একচেঞ্জ কমিশনের (বিএসসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ওপর গেইন ট্যাক্স আরোপ করা হচ্ছে না। এরপরও এ নিয়ে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কারসাজি চক্র নানা ধরনের গুজব সৃষ্টি করছে। চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি ৩৫ কোম্পানি বাদে সবগুলোর ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হয়।

ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়ার পর সূচক ৬ হাজার ৩৪৬ থেকে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৬ হাজার ৭৯ পয়েন্টে নেমে আসে। এরপর আবারও বাজার ইতিবাচক ধারায় ফিরে। সূচক আবারও ৬ হাজার ৪৪৭ পয়েন্টে ওঠে। এরপর বাজার হঠাৎ করে ক্যাপিটাল গেইন আরোপের খবরে বাজার চরম অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা বিরাজ করছে। তারপরও বিশ্বের বড় শেয়ার মার্কেটগুলোতে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের শেয়ারবাজারও রেকর্ড উচ্চতায় অবস্থান করছে। এমনকি অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে থাকা শ্রীলংকার শেয়ার মার্কেটও ইতোমধ্যে অনেক দূর এগিয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেট।