
৯ প্রতিষ্ঠানকে কর অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন, মাস্তুল ফাউন্ডেশন, এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজ ইন্টারন্যাশনাল ইন বাংলাদেশ, রোগীকল্যাণ সমিতি, বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, প্যালিয়েটিভ কেয়ার সোসাইটি অব বাংলাদেশ (পিসিএসবি) ও আগামী এডুকেশন ফাউন্ডেশন।
এই করছাড় ২০৩০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত পাওয়া যাবে। জনকল্যাণমূলক ও সামাজিক কাজে সম্পৃক্ত থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর ছাড় সুবিধা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আয়কর আইন, ২০২৩-এর ক্ষমতাবলে ওই আইনের ৭৬-এর উপধারা (১) আইনের ষষ্ঠ তফসিলের অংশ ৩–এর অনুচ্ছেদ ২–এর দফা (১৩)–এর ক্ষমতাবলে বিধানাবলি পরিপালন সাপেক্ষে এই ৯ প্রতিষ্ঠানকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য কর অব্যাহতি দেওয়া হলো।
প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সমাজসেবাসহ নানা খাতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে। জনকল্যাণে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাদের এ ধরনের কর অব্যাহতি সুবিধা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা, রক্ত সংগ্রহ, জনসচেতনতা এবং স্ক্রিনিং সেবা দিয়ে আসছে। আরেক প্রতিষ্ঠান মাস্তুল ফাউন্ডেশন দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং পুনর্বাসনে কাজ করে। এ ছাড়া পথশিশুদের জন্য স্কুল, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও আশ্রয়কেন্দ্র পরিচালনা করে। কম দামে ওষুধ উৎপাদন, গণ চিকিৎসা, মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা এবং স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণে কাজ করছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এছাড়া অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও শিশু, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ নানা ধরনের জনকল্যাণমূলক কাজে জড়িত রয়েছে।
এর আগে কর অব্যাহতি দেওয়া হয় গ্রামীণ ব্যাংক ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনকে। সে হিসেবে চার বছর পর আবার আয়করমুক্ত সুবিধা পায় গ্রামীণ ব্যাংক। আয়কর রিটার্ন দাখিলের শর্তে ব্যাংকটিকে ২০২৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কর অব্যাহতি দিয়েছে সরকার। একই শর্তে ২০২৯ সালের জুন পর্যন্ত দান হিসেবে পাওয়া আয় থেকে কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে অলাভজনক ধর্মীয় দাতব্য সংস্থা আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনকে। কর দিবসের মধ্যে রিটার্ন দাখিলসহ যাবতীয় নিয়ম পরিপালন করে এ সুবিধা পাবে প্রতিষ্ঠান দুটি। গত বছরের
১০ অক্টোবর এ বিষয়ে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর।