সংঘাতের মধ্যেও মিয়ানমার থেকে আসছে গরু-মহিষআজ হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসরকারি ২৮ শিল্পপ্রতিষ্ঠান চলছে লোকসানেময়মনসিংহের ৩ উপজেলায় ভোট শুরু, নেই নারী ভোটার
No icon

ছন্দে ফিরছে উৎসবের অর্থনীতি

করোনার ছোবলে গত দুই বছর উৎসব ছিল বিবর্ণ, রংহীন। সেই প্রেক্ষাপটে নিজেদের গুটিয়ে রাখে অধিকাংশ মানুষ। কেনাকাটাও জমেনি তেমনটা। অতিমারির তেজ কমতে থাকায় আবারও ছন্দে ফেরার অপেক্ষায় উৎসবপ্রেমী বাঙালি। এবারের বাংলা নববর্ষ ও ঈদ সামনে রেখে অর্থনীতির পালেও লাগতে শুরু করেছে দোল। বণিকরা বুনছেন নতুন স্বপ্ন। বড় দুটি উৎসব ঘিরে চাহিদা বাড়ে এমন পণ্যের ব্যবসায় তৈরি হয়েছে চাঙ্গা ভাব। স্থানীয় বাজারনির্ভর কারখানার উৎপাদন ও পাইকারি বাজারের বিকিকিনি হয়ে উঠেছে জম্পেশ।করোনাযুদ্ধে লড়তে গিয়ে গত দুই বছর সামগ্রিক জনজীবন ছিল বিপর্যস্ত। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যও হারায় খেই। কিছুদিন ধরে করোনা সংক্রমণ কমছে, মৃত্যুও হাতেগোনা। তাই এবার প্রায় স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে হাজির হতে যাচ্ছে বাংলা নববর্ষ ও ঈদ। সামনে আর কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখোমুখি না হলে এ বছরটা হবে ব্যবসাবান্ধব- এমন আশায় বুক বেঁধেছেন সংশ্নিষ্টরা।এরই মধ্যে নামিদামি ব্র্যান্ড শোরুমে সংযোজন করা হচ্ছে নিত্যনতুন পণ্য। দুর্যোগ কাটিয়ে কেউ কেউ খুলছে নতুন শোরুম। চাহিদা অনুযায়ী হচ্ছে আমদানি। সব মিলিয়ে উৎসব ঘিরে চলছে বিশাল এক কর্মযজ্ঞ।

ঈদে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে পোশাকের। জুতা, স্যান্ডেল, গহনা, ঘর-গৃহস্থালির পণ্য, শখের পণ্যের বেচাকেনাও বাড়ে। প্রসাধনীর বাজারে তৈরি হয় বাড়তি চাহিদা। এ ছাড়া টুপি, তসবিহ, আতর, চশমা, ঘড়ির দিকেও থাকে চোখ। ১৭ কোটি মানুষের দেশে ঈদ ঘিরে কয়েক হাজার কোটি টাকার পোশাক কেনাবেচা হয়। অন্যদিকে, রমজানের ইফতারি ঘিরে বিভিন্ন খাবারের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়। ঈদের আগে ও পরে বেড়ে যায় মানুষের চলাচল; এতে গতি পায় পরিবহন খাতও।আড়ংয়ের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ঈদ উপলক্ষে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। আউটলেটগুলোতে নিয়োগ করা হয়েছে বাড়তি জনবল। সরবরাহকারীদের দেওয়া হয়েছে বাড়তি অর্ডার। পাশাপাশি ঢাকা ও রাজশাহীতে একটি করে আড়ংয়ের নতুন আউটলেট চালু করা হবে। অন্যতম দেশি পোশাক ব্র্যান্ড ইনফিনিটির প্রধান সমন্বয়কারী রাশেদুল হক মুকুল বলেন, দীর্ঘদিন খারাপ সময় গেছে। এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ঈদ আসছে। ফলে আমাদের প্রত্যাশাও অনেক বড়। এ জন্য সব বয়সীর জন্য নতুন ডিজাইনের পোশাক তৈরি করা হয়েছে। দেশের সব আউটলেটে পাঠানো হয়েছে পর্যাপ্ত পোশাক। আশা করছি, ঈদে ভালো বেচাকেনা হবে।