যুক্তরাজ্যে যাচ্ছে সীতাকুণ্ডের লিচুগাজায় ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলের হামলায় নিহত ১২১ ফিলিস্তিনি১১ বছর পর আবারও এভারেস্ট চূড়ায় বাংলাদেশ দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আভাস৩ দিন ভারত ভ্রমণে যেতে পারবেন না বাংলাদেশিরা
No icon

ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

কালবৈশাখি ঝড়ে ফেনী জেলার শতাধিক স্থানে বিদ্যুতের লাইন ও খুঁটিতে গাছ পড়ে পুরো জেলার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিভিন্ন গ্রামে মানুষের কাঁচা বাড়িতে গাছ পড়েও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ফেনীর প্রায় তিন ভাগের দুই ভাগ গ্রাহক পায়নি বিদ্যুৎ সংযোগ। শরীয়তপুরে শিলাবৃষ্টিতে পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হবিগঞ্জে মাত্র ২৫ মিনিটের ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ৭৯ হেক্টর ফসল ও সবজি খেতের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।  ফেনী : কালবৈশাখি ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে ফেনী। ওয়াপদা ও পল্লী বিদ্যুৎ মিলে ফেনীতে বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছে ৪ লাখ ৮৭ হাজার। এখন পর্যন্ত ফেনীর প্রায় তিনভাগের দুই ভাগ গ্রাহক পায়নি বিদ্যুৎ সংযোগ। ঝড়ে সোমবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর অংশে অন্তত ১০ স্থানে গাছ ও ঢাল পড়ে সড়ক যোগাযোগ কয়েক ঘণ্টা বিচ্ছিন্ন ছিল। ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, র;্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মহাসড়ক থেকে গাছ অপসারণ করার পরও মহাসড়কে সোমবার পুরো রাত দীর্ঘ যানজট ছিল। ঝড়ে ফেনী শহরসহ বিভিন্ন স্থানে সড়কে গাছ পড়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে প্রায় ঘণ্টাখানেক ফেনীতে ঝড় হয়। পরে রাত পর্যন্ত জেলাব্যাপী থেমে থেমে ঝড় হয়।

ফেনীর ফাজিলপুর হাইওয়ে থানার ইনচার্জ রাশেদ খান চৌধুরী জানান, মহাসড়কের তার অংশে প্রায় ৫/৬ স্থানে গাছ ও ঢাল পড়ে সড়ক বন্ধ হলে দ্রুত অপসারণ করে যান চলাচলে স্বাভাবিক করা হয়।ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুল মজিদ জানান, ঝড়ে ফেনীর প্রায় অর্ধশতাধিক স্থানে গাছ ও ঢাল পড়ে বেশ ক্ষতি হয়েছে।ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার ফজলুর রহমান জানান, পল্লী বিদ্যুতের ৪ লাখ গ্রাহক রয়েছে। প্রায় সব গ্রাহকই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। গতকাল রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত তিন ভাগের এক ভাগ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। পুরোদমে কাজ চলছে।ফেনী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম ফরহাদ জানান, ফেনী শহরে ৮৭ হাজার গ্রাহক রয়েছে। সব গ্রাহকই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল। আমরা দ্রুতগতিতে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় স্থাপন করছি।ফেনী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. একরাম উদ্দিন জানান, ঝড়ে আমাদের তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ফেনীতে আগেই বোরো ধান কেটে ফেলা হয়েছে। যেগুলো মাঠে রয়েছে সেগুলোর তেমন ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। তবে প্রচুর সংখ্যক গাছ ভেঙে পড়েছে।