ঢাকা ছাড়লেন ডোনাল্ড লু বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছেড়েছেন শান্ত-সাকিবরাদেশের পাঁচ বিভাগে ৪৮ ঘণ্টার হিট অ্যালার্ট জারিমে মাসের শেষ দিকে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড়রাজশাহীতে বাগান থেকে গুটি আম নামানো শুরু
No icon

প্রণোদনায় কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে অর্থনীতি

করোনায় দেশের অর্থনীতির গতি শ্লথ হলেও সরকার ঘোষিত প্রণোদনায় তা কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। একবিংশ শতাব্দীতেও যে মানুষ কতটা অসহায় হতে পারে তা বুঝিয়ে দিয়েছে এই মহামারী। এ সময়ে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে আসে। তবে সরকারের বলিষ্ঠ সিদ্ধান্ত এবং ভূমিকা তা থেকে উত্তরণের একটি পথ দেখিয়েছে।সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ আত্মবিশ্বাস ফেরাতে সহযোগিতা করেছে। ব্যবসায়ীরা সব সময়েই উত্তরণের পথ খোঁজেন। রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে সহযোগিতা না পেলে ব্যক্তিগতভাবে এই মহামারীকালে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব ছিল না। সে কারণেই এখন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি এসেছে। অন্যদিকে করোনার মধ্যেও রেমিটেন্স বৃদ্ধি পেয়েছে অভাবনীয় হারে, যা আশীর্বাদ হিসেবে কাজ করেছে। এর ফলে ডলারের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। যার সুফল সরাসরি পেয়েছেন রফতানিকারকরা।সম্প্রতি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এসব কথা বলেন ব্যাংক এশিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আরফান আলী। নিজের ব্যাংকের পাশাপাশি পুরো ব্যাংকিং খাত ও নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নানা অসঙ্গতি এবং তা থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে কথা বলেন তিনি।

আরফান আলী বলেন, ব্যাংক ও আর্থিক খাতে পুরনো-নতুন যত সমস্যা বিশেষ করে উচ্চ খেলাপি ঋণ, ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপি, ঋণ অবলোপন, অর্থঋণ আদালতে মামলার জট, ঋণ অধিগ্রহণ, পরস্পর ঋণ ভাগাভাগি, নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে যে অস্থিরতা-এসবের সমাধান হওয়া উচিত। পরিবর্তন আসতে হবে। এছাড়া কোনো উপায়ও নেই। সবচেয়ে বড় সমস্যা বের হওয়ার পথ খোলা নেই।একজন গ্রাহক বারবার খেলাপি হচ্ছেন, তাকে কেন আবার টাকা দিতে হবে? একটা ব্যাংক চলতে পারছে না সে ব্যাংককে টিকিয়ে রাখতে হবে কেন? একটা নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান বারবার হোঁচট খাচ্ছে সে প্রতিষ্ঠানকে কেন বাঁচিয়ে রাখতে হবে? এ ক্ষেত্রে এক্সিট পয়েন্ট থাকা উচিত। যে প্রতিযোগিতায় টিকবে না সে পড়ে যাবে। তাহলে বাজারে ভালোর মূল্য থাকবে। এখন ভালো-মন্দ এক হয়ে যাচ্ছে।ব্যাংক এশিয়ার এমডি বলেন, ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে ডেফার্ড বা অতিরিক্ত সময় দেয়া হয়েছে, যার মেয়াদ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর মধ্যেও কিছু ভালো গ্রাহক নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করছেন, আবার কেউ কেউ আরও সুযোগ-সুবিধা খুঁজছেন। তবে সময় শেষে এ টাকা কীভাবে আদায় হবে তা নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।