নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশ ধরতে নেমেছেন জেলেরাএইচএসসির সোয়া ৪ লাখ খাতা চ্যালেঞ্জরোববার ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে নিম্নচাপ২০২৬ সাল থেকেই নতুন বেতন স্কেলে বেতন-ভাতা পেতে পারেন সরকারি চাকরিজীবীরাবাজারে কিছুটা স্বস্তি এনেছে শীতের সবজি, কমছে ডিমের দামও
No icon

রোববার ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে নিম্নচাপ

বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। সাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি   রোববার দুপুর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে আশার কথা হলো, এ ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না এমনটাই জানিয়েছে সংস্থাটি।আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৩৩০ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে এক হাজার ২৫৫ কিলোমিটার, মোংলা থেকে এক হাজার ৩০৫ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে রোববার দুপুরের দিকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তিনি বলেন, এ ঘূর্ণিঝড়ের তেমন প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে না। সমুদ্রপথেও বড় কোনো প্রভাব পড়বে না বললেই চলে। তবে স্থলভাগে এর প্রভাবে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টিপাত হতে পারে।আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ঘনীভূত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর নাম হবে মন্থার থাই ভাষার শব্দটির অর্থ ‘সুন্দর ফুল । নামটি দিয়েছে থাইল্যান্ড। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নাম আগেভাগেই নির্ধারণ করে রেখেছে বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা।

সাগরে নিম্নচাপের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ইতোমধ্যে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।ভারতের আবহাওয়া দপ্তর ও দেশটির সংবাদমাধ্যম ডেকান ক্রনিকল জানিয়েছে, নিম্নচাপটি সোমবার ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাদা উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তখন বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঝড়টি পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে ২৮ অক্টোবর প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। সেই অবস্থায় কাকিনাদা উপকূল অতিক্রম করবে।আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, বাংলাদেশ উপকূলে সরাসরি আঘাতের আশঙ্কা না থাকলেও ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে সাগর কিছুটা উত্তাল থাকবে। দেশের পশ্চিমাঞ্চলে সামান্য বৃষ্টি হতে পারে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৌসুমের শেষ ভাগে বঙ্গোপসাগরে এ ধরনের নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড় নতুন কিছু নয়। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঘূর্ণিঝড়গুলো আরও ঘন ঘন ও অনিশ্চিত হয়ে উঠছে। তাই উপকূলের মানুষ ও জেলেদের সতর্ক থাকা জরুরি।বছরে দুটি সময় ঘূর্ণিঝড়প্রবণ একটি মৌসুমি বায়ু আসার আগে এপ্রিল থেকে মে এবং আরেকটি মৌসুমি বায়ু চলে যাওয়ার পর অক্টোবর থেকে নভেম্বর। সাধারণত বড় ঘূর্ণিঝড়গুলো হয়ে থাকে নভেম্বর মাসে।