
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক পদত্যাগ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার তিনি ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তার পদত্যাগ ১৪ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন বর্তমান মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান। তবে মেজবাউল হকের পদত্যাগের পেছনে বিতর্কিত কিছু ঘটনা জড়িয়ে আছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।সূত্র বলছে, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ার পর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ (এফআইডি) তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। একই সঙ্গে গভর্নরের কাছে তার পদত্যাগ নিশ্চিত করতে একটি চিঠিও পাঠানো হয়।
এছাড়া, সরকারের পরিবর্তনের পর (আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর) বাংলাদেশ ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও সমালোচনার ঝড় ওঠে। এই প্রেক্ষাপটে মেজবাউল হককেও রাজশাহী অফিসে বদলি করা হয়।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আগমনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকে ব্যাপক পরিবর্তন আসে। এর আগে গত বছর ৫ আগস্টের পর তৎকালীন গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার কার্যত দৃশ্যপট থেকে সরে যান। পরবর্তীতে আহসান এইচ মনসুর নতুন গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব নেন। একই সময়ে দুইজন ডেপুটি গভর্নর, বিএফআইইউ প্রধানসহ আরও কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেন।মেজবাউল হক ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে নির্বাহী পরিচালক পদে উন্নীত হন এবং একই সময় তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পান। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা উন্নয়নে তার ভূমিকা ছিল উল্লেখযোগ্য।মেজবাউল হকের পদত্যাগ বিষয়ে তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।