১৯ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মিদৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধএকুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধাগ্যাস-বিদ্যুতে ভয়াবহ ভোগান্তির আশঙ্কামহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ
No icon

গ্যাস-বিদ্যুতে ভয়াবহ ভোগান্তির আশঙ্কা

শীত শেষে ফাল্গুনের শুরুতেই পড়ছে হালকা গরম। রাতে চালাতে হচ্ছে ফ্যান। এতেই শুরু হয়েছে লোডশেডিং। মার্চে রমজান, সঙ্গে বাড়বে গরমও। একই সঙ্গে শুরু হয়েছে সেচ মৌসুম। সব মিলিয়ে মার্চ-এপ্রিল থেকে বিদ্যুতের চাহিদা দেড় গুণ হবে। খাত-সংশ্লিষ্টদের মতে, এই বাড়তি চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হবে বিদ্যুৎ বিভাগকে। অর্থ সংকটে চাহিদা অনুসারে জ্বালানি সরবরাহ সম্ভব হবে না। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এবার গরমে তিন হাজার মেগাওয়াটের বেশি ঘাটতি থাকবে বিদ্যুতের। যদিও বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, লোডশেডিং হবে দেড় হাজার মেগাওয়াট। সব মিলিয়ে এবার ভয়াবহ লোডশেডিং ও ভোগান্তির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে রমজানে ও সেচ মৌসুমে সংকট ঠেকিয়ে রাখা যাবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ বছর গ্রীষ্মকালে ১৮ হাজার মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুতের চাহিদা দাঁড়াবে।

কিন্তু এখন খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের রেখে যাওয়া বিদ্যুতের বকেয়া বিলের পরিমাণ অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে খুব বেশি কমেনি। বিল না পাওয়ায় বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা প্রাথমিক জ্বালানি ফার্নেস অয়েল ও কয়লা আমদানিতে হোঁচট খাচ্ছে। অর্থ সংকটে রয়েছে গ্যাস খাতও। বকেয়া ও ডলার সংকটে এলএনজি আমদানি ব্যাহত হতে পারে। দেশীয় উৎস থেকেও গ্যাসের জোগান কমছে। ফলে এবার গরমে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।

শুরু হয়েছে লোডশেডিং

গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোডশেডিং শুরু হয়েছে। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির (পিজিসিবি) ওয়েবসাইটের তথ্যানুযায়ী, গত সোমবার রাত ৯টায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১২ হাজার ১৭০ মেগাওয়াট। লোডশেডিং হয়েছে ১০২ মেগাওয়াট। এখন দিন দিন তা বাড়ছেই।

বিদ্যুৎ সরবরাহ সক্ষমতা

বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের প্রকৃত উৎপাদন সক্ষমতা ২৭ হাজার মেগাওয়াটের মতো। এর মধ্যে ৫৮টি গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতা উৎপাদনের ৪৪ শতাংশ তথা ১২ হাজার মেগাওয়াট। সাতটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতা ২৬ শতাংশ তথা সাত হাজার মেগাওয়াট সরবরাহ করে। ফার্নেস অয়েল থেকে পাওয়া যাবে সাড়ে পাঁচ হাজার মেগাওয়াট। ভারত থেকে আমদানি করা হয় ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট। এ ছাড়া সৌর-জলবায়ু থেকে এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসে।

গরমে চাহিদা

পিডিবি জানিয়েছে, গরমে বিদ্যুতের চাহিদা হবে ১৮ হাজার ২৩২ মেগাওয়াট। এই চাহিদা মেটাতে গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলো থেকে ৬ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট, কয়লা থেকে ৫ হাজার ৫৫৮ মেগাওয়াট, ফার্নেস অয়েলভিত্তিক কেন্দ্র থেকে ৪ হাজার ১৪৯ মেগাওয়াট এবং বিদ্যুৎ আমদানি করে ২ হাজার ১২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে, যদি চাহিদা অনুসারে জ্বালানি মেলে। কিন্তু বাস্তবে চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদনের সম্ভাবনা কম।