কারাগার থেকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেইনি: ফারুক খানশেখ হাসিনার কোনো ক্ষমা নেই: মাওলানা মামুনুল হকআ. লীগকে শুধু নিষিদ্ধ নয়, নিশ্চিহ্ন করতে হবে: আসিফ মাহমুদবাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন ছাপানো টাকায় থাকবে না মুজিবের ছবিএটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে দেশব্যাপী জামায়াতের বিক্ষোভ-সমাবেশ
No icon

রমজানে খাদ্যপণ্য সুলভ ও বিনামূল্যে দেওয়া হবে

আগামী মার্চ ও এপ্রিল মাসে তিন লাখ টন চাল খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে ৫০ লাখ পরিবারকে তা দেওয়া হবে। পাশাপাশি ঈদের সময় এক কোটি পরিবারকে বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।গতকাল সোমবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রথম অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।এ সময় খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ দুই মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।অধিবেশনে উপদেষ্টা পবিত্র রমজান মাসে খাদ্যপণ্য সুলভ মূল্যে এবং বিনামূল্যে বিতরণ কার্যক্রম সুশৃঙ্খলভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে ডিসিদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানান, রোজার মাসে প্রায় সাত লাখ টন খাদ্যপণ্য বিতরণ করা হবে। এ ছাড়া টিসিবির মাধ্যমে আরো ৫০ হাজার টন করে দুই মাসে এক লাখ টন চাল বিতরণ করা হবে।এসব চাল বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক সহায়তা করবে উল্লেখ করে খাদ্য উপদেষ্টা আরো বলেন, বিতরণ কার্যক্রম বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ করবে, কিন্তু মূল তদারকি করবেন ডিসিরা।

ঢাকা মেট্রোপলিটনে ১২২টি কেন্দ্র এবং ৭০টি ট্রাক আছে। খাদ্য বিভাগ, ম্যাজিস্ট্রেটও থাকবে বিতরণ কার্যক্রম তদারকির জন্য।মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, আসন্ন রমজান মাসে জনসাধারণ যেন সহজেই প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটাতে পারে, সে জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস বিক্রির ব্যবস্থা করবে। এই কর্মসূচির আওতায় পাস্তুরিত তরল দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ২৫০ টাকা এবং ডিম প্রতি ডজন ১১৪ টাকা দরে বিক্রি করা হবে।গতকাল মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে আসন্ন রমজান মাসে গৃহীত কার্যক্রম এবং গত ছয় মাসে মন্ত্রণালয়ের কাজের অগ্রগতি বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।প্রথম রমজান থেকে শুরু হয়ে ২৮ রমজান পর্যন্ত দুধ, ডিম ও মাংস বিপণনব্যবস্থা ঢাকা শহরের ২৫ স্থানে চালু থাকবে। সুলভ মূল্যে প্রাণিজাত পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে জুলাই বিপ্লবের সময় যেসব স্থানে সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ বেশি ছিল, সেসব স্থানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।