ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ৫০০ ছাড়িয়েছেতেজগাঁওয়ে ট্রাকস্ট্যান্ডে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৩ ইউনিটসারা দেশে তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনাবাড়তে পারে ঢাকার তাপমাত্রাউন্নতির চেয়ে বেশি দুর্নীতি
No icon

টিউলিপ সিদ্দিককে ক্ষমা চাইতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

ব্রিটেনের দুর্নীতি দমনমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ নিয়ে এবার মন্তব্য করলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশের সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠজনদের দেওয়া সম্পদ ব্যবহারকে ডাকাতি বলে উল্লেখ করে টিউলিপকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বললেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানডে টাইমসের প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে। 

সানডে টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেছেন, টিউলিপের ব্যবহৃত লন্ডনের সম্পদের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত। তিনি অবৈধভাবে এসব সম্পদ ভোগ করেছেন প্রমাণিত হলে সেগুলো তাৎক্ষণিভাবে ফিরিয়ে দিতে হবে। 

সম্প্রতি পরিচালিত এক অনুসন্ধানে টিউলিপের বহুদিনের আবাসস্থল হ্যাম্পস্টেডের একটি বাড়ি নিয়ে কিছু অসঙ্গতি খুঁজে পায় সানডে টাইমস। ওই বাড়ি ক্রয়ে পানামা পেপারসে থাকা এক অফশোর কোম্পানি ও দুই বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর নাম খুঁজে পায় তারা। এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে রাজনৈতিকভাবে কিছুটা চাপে পড়ে যান টিউলিপ সিদ্দিক।

টিউলিপের ব্যবহৃত সম্পদের বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের তদন্ত করা উচিত কিনা, সানডে টাইমসের এই প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেছেন, অবশ্যই পুরো বিষয়টিই কর্তৃপক্ষের খতিয়ে দেখা উচিত। 
তিনি আরও বলেছেন, সম্ভব হলে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠজনদের কেনা সম্পদ বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা দরকার। কারণ এসব সম্পদ জনগণের টাকায় কেনা হয়েছিল। সানডে টাইমসের দাবি, বাংলাদেশের নির্দিষ্ট কিছু সম্পদ ফিরিয়ে দিতে সদিচ্ছা প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের একজন উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা বলেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম।  টিউলিপ সিদ্দিককে 'পারিবারিক ব্যবসার' অংশীদার বলে কটাক্ষ করে আলম বলেছেন, বাংলাদেশের বাইরে থাকা পরিবারের সদস্যদের কাছে সম্পদ পাচার করা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং এটি ছিল ১৫ বছরের একটি সুসংহত প্রক্রিয়া।