মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের অধীনে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর গঠিত হবেবাংলাদেশে ভূ-কম্পন অনুভূতকানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগখালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা ঘিরে শাহজালালে কঠোর নিরাপত্তা ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ গেল আরও ৮৮ ফিলিস্তিনির
No icon

সার্বভৌম রক্ষায় যুদ্ধপ্রস্তুতি রাখতে হবে সেনাদের : প্রধান উপদেষ্টা

প্রশিক্ষণেই সর্বোত্তম কল্যাণ - এই মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে দক্ষতা অর্জন করে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনী প্রস্তুত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যে কোনো যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী প্রস্তুত থাকবে। গতকাল দুপুরে রাজবাড়ী মিলিটারি ট্রেনিং এরিয়ার চর খাপুড়া ও চর রামনগর এলাকায় সেনাবাহিনীর ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের ব্যবস্থাপনায় শীতকালীন ম্যানুভার অনুশীলন পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি।৫৫ পদাতিক ডিভিশনের মহড়ায় যোগ দেয় যুদ্ধে মোতায়েনযোগ্য ট্যাংক, কামানসহ অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র। কমান্ডো ও সকল আর্মস সার্ভিসের অংশগ্রহণে তুলে ধরা হয় প্রতীকী যুদ্ধের পরিবেশ। মহড়ায় বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান, আর্মি এভিয়েশন বিমান, হেলিকপ্টার ও প্যারা কমান্ডোরাও অংশ নেয়। এ সময় সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে মহড়া ঘুরে দেখান। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এ মহড়া প্রত্যক্ষ প্রধান উপদেষ্টা।

রাষ্ট্রের সব প্রয়োজনে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে মন্তব্য করে অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বহু ব্যাটল পৃথিবীতে বিখ্যাত হয়ে আছে। একেকটা ব্যাটেল কীভাবে লড়াই করেছে, কীভাবে জিতেছে, কীভাবে শত্রুর কাছ থেকে বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে এসেছে- সবকিছুর প্রস্তুতি এভাবেই হয়। আজকের এই প্রস্তুতি দেখে খুব ভালো লাগল, যাতে এটা ক্রমাগতভাবে আমরা প্রতি মুহূর্তের জন্য প্রস্তুত থাকতে পারি সেটার জন্য।ড. ইউনূস বলেন, একজন শান্তিকামী মানুষ হিসেবে আমি যুদ্ধের চেয়ে শান্তির মহড়া দেখতে বেশি আনন্দবোধ করি। তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে প্রস্তুতির লক্ষ্যে সামরিক বাহিনীর এই প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই মহড়া দেখে আমি সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সক্ষমতা সম্পর্কে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়েছি।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অনুশীলনে অংশ নেওয়া সেনা সদস্যদের দক্ষতা ও প্রশিক্ষণের প্রশংসা করেন। তাকে সেখানে অভ্যর্থনা জানান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন এবং ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও যশোর এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল জেএম ইমদাদুল ইসলাম। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে অন্যান্য উপদেষ্টা, সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।আইএসপিআর জানায়, সেনাপ্রধান রাজবাড়ী সামরিক প্রশিক্ষণ এলাকায় সেনা সদস্যদের অবস্থানের জন্য প্রশাসনিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরে তিনি রাজবাড়ী সামরিক প্রশিক্ষণ এলাকায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। এ সময় সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।