সংস্কারের পর নির্বাচন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করতে হবে। এরপর নির্বাচন দেওয়া হবে।আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে কপ-২৯ সম্মেলনের ফাঁকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।দেশকে গণতান্ত্রিক ভোটের দিকে নিয়ে যাওয়ার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, সরকারে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম দেশকে ভোটের জন্য প্রস্তত করতে। প্রস্তুতি শেষ হওয়ার সাথে সাথেই নির্বাচন দেওয়া হবে।তিনি বলেন, এসব সংস্কারে দেশের সবাইকে এক হতে হবে। যাতে সরকার, সংসদ, নির্বাচনী বিধি কেমন হবে। এসব খুব দ্রুত শেষ করতে হবে। ড. ইউনূস বলেন, আমরা অন্তর্বর্তী সরকারে রয়েছি। তাই আমাদের মেয়াদ যতটা সম্ভব কম হওয়া উচিৎ। আমরা দ্রুত নির্বাচন দিতে চাই।সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে হাজারো শিক্ষার্থী বিক্ষোভে অংশ নেন। এরপর এটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রূপ নেয়। বিক্ষোভে ৭০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। প্রবল আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।