২০২৬ সালের মধ্যে চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ‘আর্টেমিস’ অভিযানের তোড়জোড় চলছে জোরকদমে। তার মাঝেই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়ে দিলেন, নাসার অভিযানের সঙ্গে চাঁদে পা রাখতে চলেছেন ভিন্দেশীরাও। এত দিন পর্যন্ত শুধু আমেরিকার নাগরিকেরাই চাঁদে পা রেখেছেন। এবার নাসার হাত ধরেই সেই কৃতিত্ব পাবে অন্য এক দেশও। প্রথম ‘ভিন্দেশি’ (নন-আমেরিকান) হিসাবে চাঁদে পা রাখবেন এক জাপানি।
সম্প্রতি জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা আমেরিকা সফরে গিয়েছেন। তাঁকে সঙ্গে নিয়ে করা সাংবাদিক বৈঠকেই এই ঘোষণা করেছেন বাইডেন। জাপানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নাসার চন্দ্র অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘নাসার ভবিষ্যতের অভিযানে দু’জন জাপানি মহাকাশচারী থাকবেন। তাঁদের মধ্যে এক জন হবেন চাঁদে পা রাখা প্রথম ব্যক্তি, যিনি আমেরিকান নন।’’ বাইডেনের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে তিনি এ-ও জানিয়েছেন, নাসার আর্টেমিস অভিযানে শামিল হওয়ার মতো একটি আস্ত রোভার তৈরি করে দেবে তার দেশ।
বস্তুত, চাঁদে প্রথম পা রেখেছিলেন আমেরিকার মহাকাশচারী নীল আর্মস্ট্রং। তার সঙ্গে ছিলেন এডুইন অলড্রিনও। ১৯৬৯ সালের জুলাই থেকে ১৯৭২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নাসার অ্যাপোলো অভিযানের শরিক হিসাবে মোট ১২ জন মহাকাশচারী চাঁদে গিয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই আমেরিকান। এখনো পর্যন্ত আমেরিকার বাইরের কোনও দেশের চাঁদে পা রাখার কৃতিত্ব নেই। ২০২৬ সালে নাসার আর্টেমিস অভিযান যদি সফল হয়, তবে এক জাপানি হবেন চাঁদে পা রাখা প্রথম মহাকাশচারী, যিনি আমেরিকান নন।
চাঁদে মহাকাশচারী পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে চিনেরও। ২০৩০ সালের মধ্যে তারাও এই কৃতিত্বের অধিকারী হবে বলে দাবি করেছে। আর্টেমিস অভিযানকে সফল করতে নাসার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে জাপানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জাক্সা। সম্প্রতি তারা চাঁদে নিজস্ব মহাকাশযানও পাঠিয়েছে। গত জানুয়ারিতেই চাঁদের মাটি ছুঁয়েছে জাপানের ‘স্লিম’। এর মাধ্যমে আমেরিকা, রাশিয়া, চিন এবং ভারতের পর জাপান চাঁদে পৌঁছতে পারা পঞ্চম দেশ হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এবার সেই দেশের নাগরিকই চাঁদের মাটি ছুঁতে চলেছেন।