আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক আজ সর্বজনীন পেনশনের নিবন্ধন এক লাখ ছাড়াল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত স্কুল-মাদরাসা বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশমহাবিপদ এড়াতে এখনই সাজাতে হবে পরিকল্পনা ২৭ জেলায় স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বন্ধ থাকবে আজ
No icon

রোহিঙ্গাদের যত দ্রুত সম্ভব চলে যেতে হবে

রোহিঙ্গাদের জন্য দীর্ঘ মেয়াদে সহযোগিতার তহবিল গঠনের সম্মেলনে সংকট সমাধানের জোরালো তাগিদ দিয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ওই ভার্চুয়াল সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, আশ্রিত রোহিঙ্গাদের যত দ্রুত সম্ভব তাদের উৎস দেশ মিয়ানমারে ফিরতে হবে। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান শুধু প্রত্যাবাসনের মাধ্যমেই সম্ভব। পশ্চিমা বিভিন্ন দেশ, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য যে প্রস্তাবগুলো দিচ্ছে, ঠিক একই ধরনের প্রস্তাব মিয়ানমারে দেওয়া ও বাস্তবায়িত না হলে এসব বিনিয়োগ ভেস্তে যাবে।পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেন, সার্বভৌমত্ব ও সুরক্ষা প্রশ্নে বাংলাদেশ যেকোনো সিদ্ধান্ত নেবে। সেই সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে রোহিঙ্গা শিবিরে বেড়া দেওয়া হচ্ছে। ভাসানচরে এক লাখ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হবে বলে জোর দিয়ে জানান তিনি।

শাহরিয়ার আলম বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘ কাঠামো ব্যর্থ হয়েছে। মিয়ানমারের ভবিষ্যতের সঙ্গে যেসব রাষ্ট্রের সম্পৃক্ততা আছে, তারা যেন সেই সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে সংকট সমাধান করতে মিয়ানমারকে বোঝায় বা বাধ্য করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) আয়োজিত ওই ভার্চুয়াল সম্মেলন শুরুতে ছিল দাতা সম্মেলন। বাংলাদেশের উদ্যোগে শেষ পর্যন্ত সম্মেলনের শিরোনাম ঠিক করা হয় রোহিঙ্গা শরণার্থী সাড়াদানের জন্য টেকসই সহযোগিতা ১০০ কোটি মার্কিন ডলারের তহবিল সংগ্রহের লক্ষ্য নিয়ে আয়োজিত ওই সম্মেলন গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হয়। প্রায় তিন ঘণ্টাব্যাপী ওই সম্মেলনে প্রায় ৬০ কোটি ডলার সহায়তার আশ্বাস মেলে। এটি এ বছরের যৌথ সাড়াদান পরিকল্পনার আওতায় প্রতিশ্রুত তহবিলের অতিরিক্ত। সম্মেলনে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রতি বৈশ্বিক সহানুভূতির পাশাপাশি সংকট সমাধানে মিয়ানমারকে জোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রোহিঙ্গাদের ফেরার পরিবেশ সৃষ্টি, প্রত্যাবাসন ও তাদের ওপর নিপীড়নের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার কাজ করার অঙ্গীকার মিলেছে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চীনের ভূমিকার প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছেন অনেকে।