NEWSTV24
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ক্ষমতাসীনদের জন্য বড় ম্যাসেজ: আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩ ২৩:৩৫ অপরাহ্ন
NEWSTV24

NEWSTV24

বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত নতুন ভিসানীতিকে ক্ষমতাসীনদের ভোট কারচুপির বিরুদ্ধে বড় ধরনের সিগন্যাল বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত ভোট রিগিং হচ্ছে এটা বন্ধ করার জন্য আমরা স্বাগত জানাই তাদের পদক্ষেপকে।

এটা তাদের জন্য বড় ম্যাসেজ। এই ম্যাসেজ না নিয়ে আবারো যদি বাংলাদেশে ভোটচুরির প্রক্রিয়ায় তারা অ্যাবহতভাবে কাজ করতে থাকে তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের চিন্তা করা দরকার। বুধবার বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র জানায়, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের এই নীতির আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেওয়া হবে না।

যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানানোর কারণ ব্যাখ্যায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটকে বিবেচনায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত এসেছে। আমরা এটাকে ওয়েলকাম করছি এই কারণে যে, এটা হচ্ছে বাংলাদেশের এই মুহূর্তে মানুষের যে শঙ্কা নির্বাচনকে নিয়ে, অন্তত এই ধরনের একটি পদক্ষেপ আমি মনে করি আগামী দিনে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

এটার মাধ্যমে যে সব কিছু হবে তা না কিন্তু এটা একটি সিগন্যাল, একটা ম্যাসেজ যে, বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে পারছে না, বাংলাদেশের মানুষের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেয়া হচ্ছে, জীবনের নিরাপত্তার শঙ্কার মধ্যে আছে। (ভিসা নীতিতে) উল্লেখ করেছে যে, এই লোকগুলো, এই সংস্থাগুলো বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ার সাথে এরা জড়িত এবং যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই নীতি বিএনপির জন্য সফলতা কিনা প্রশ্ন করা হলে বিএনপির এই নেতা বলেন, এটা সফলতার বিষয় না। বাংলাদেশের মানুষ যেদিন ভোট প্রয়োগ করে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে তাদের সরকার নির্বাচিত করতে পারবে সেদিন হবে বাংলাদেশের জনগণের সফলতা।

এই ভিসা নীতির ঘোষণায় দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কিনা, এমন প্রশ্নে আমীর খসরু বলেন, বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশকে অর্জন করতে হবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাকবে কি থাকবে না, বাংলাদেশে মানবাধিকার, বাংলাদেশে আইনের শাসন, জনগণেরর নিরাপত্তা ইত্যাদি সব মুক্তির সংগ্রামের পথে এটা একটা পদক্ষেপ, অনেকগুলো পদক্ষেপ এখানে নিতে হবে যাতে করে তারা (আওয়ামী লীগ সরকার) আবারো ভোট চুরি করে দেশের ক্ষমতা দখল করতে না পারে।

সরকারি দল যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তে বিচলিত নয়, বিএনপি উদ্বিগ্ন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা উদ্বিগ্ন না হলে ভালো কথা। তাহলে তাদেরকে বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটাধিকার, আইনের শাসন, জীবনের নিরাপত্তা এগুলো ফিরিয়ে দিতে হবে। তা না দিলে তাদেরকে উদ্বিগ্ন হতে হবে। মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে না দিয়ে আবার যদি মানুষের ভোট কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে, তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ থাকবে।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, যেখানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নাই এই গাজীপুরে সামান্য একজন প্রাক্তন মেয়রকে (জাহাঙ্গীর আলম) তারা সহ্য করতে পারতেছে না। তাকে নির্বাচন করতে তারা দেয়নি। লোকজন ভোট কাকে দেবে? ভোটের উপর কোনো আস্থা আছে?

এই সময় বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু ও মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন। এর আগে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গুলশানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের বাসায় এক বৈঠকে যোগ দেন। সেখানে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।