খালেদা জিয়ার অবস্থার সামান্য উন্নতি, বিদেশে নেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নিপূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে সরকারি ও মাধ্যমিকের শিক্ষকরা, বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিতঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’বিজয়ের মাস শুরুসেন্টমার্টিনে আজ থেকে করা যাবে রাতযাপন
No icon

খালেদা জিয়ার অবস্থার সামান্য উন্নতি, বিদেশে নেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি

বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে। গতকাল রোববার তিনি হাসপাতালের শয্যায় অল্প নড়াচড়া করতে পেরেছেন, কথাবার্তায় সাড়াও দিয়েছেন।চিকিৎসক ও বিএনপির নেতাদের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে তাঁরা বলেছেন, গত দুই দিনে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থায় কিছুটা উন্নতি থাকলেও এখনো তিনি ঝুঁকিমুক্ত অবস্থায় পৌঁছাননি। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।ওই সূত্রগুলো বলছে, পরিবারের চিন্তা থাকলেও গতকাল পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। বিদেশে নিতে হলে দীর্ঘ ফ্লাইট, যাত্রাপথের শারীরিক চাপ এবং পরিবেশগত পরিবর্তন বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এখনো সেই ঝুঁকি নেওয়ার মতো পর্যায়ে যাননি খালেদা জিয়া। এই মুহূর্তে চিকিৎসকদের অগ্রাধিকার দেশেই সর্বোচ্চ মানের চিকিৎসা নিশ্চিত করে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল অবস্থায় ফেরানো।

জানা গেছে, গতকালও খালেদা জিয়ার কিডনির ডায়ালাইসিস হয়েছে। তবে তিনি এখনো স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছেন না বা তাঁর শারীরিক অবস্থা সে পর্যায়ে পৌঁছায়নি।গুরুতর অসুস্থ হয়ে এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে শয্যাশায়ী খালেদা জিয়া। তাঁর লিভারজনিত সংকট, কিডনির কর্মক্ষমতা হ্রাস, শ্বাসকষ্টসহ একাধিক শারীরিক জটিলতা একসঙ্গে দেখা দেওয়ায় তাঁর চিকিৎসা আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত কয়েক দিনে অবস্থার অবনতি হওয়ায় আইসিইউ সমমানের হাইডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) তাঁকে রাখা হয়েছে।চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার কিডনিতে জটিলতা, শরীরে পানি জমা ও শ্বাসকষ্ট সব কটিকে সমন্বয় করে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে।চিকিৎসকেরা বলেছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে স্থিতিশীল আছে। তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও বিএনপির নেতা এ জেড এম জাহিদ হোসেন গত শনিবার রাতে এক ব্রিফিংয়ে সে রকম ইঙ্গিত দেন।

এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, চিকিৎসকেরা যে চিকিৎসা দিচ্ছেন, সেটা খালেদা জিয়া গ্রহণ করতে পারছেন। এখন চিকিৎসকদের লক্ষ্য, বিদেশে উন্নত চিকিৎসা সহায়তার জন্য কত দ্রুত তাঁকে বিমানযাত্রার ধকল সইবার মতো অবস্থায় নেওয়া যায়। তবে এখনো তাঁর শারীরিক অবস্থা বিদেশে স্থানান্তরের মতো স্থিতিশীল হয়নি।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র গতকাল গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, এই মুহূর্তে পরিবারের মূল লক্ষ্য খালেদা জিয়াকে বাইরে নেওয়া। বিষয়টি স্বয়ং তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমান দেখছেন এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।বিএনপির নেতারা প্রতিদিনই খালেদা জিয়ার খোঁজখবর নিচ্ছেন। তবে হাসপাতালের সামনে নেতা-কর্মীদের ভিড় না করতে দলের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।