
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে রাজধানীতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। একই সঙ্গে বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘এক্সসেপ্ট ইসরায়েল’ (ইসরায়েল ব্যতীত) লেখাটি আবারও উল্লেখ করার দাবি জানানো হয়।
পাশাপাশি ইসরায়েলের বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের নিন্দা জানিয়ে এসব থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানায় ছাত্রসংগঠনটি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটকে এক সমাবেশে শিবিরের নেতারা এসব কথা বলেন। গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে এ সমাবেশ হয়। সমাবেশের আগে শাহবাগ থেকে তাঁরা মিছিল নিয়ে বায়তুল মোকাররমে যান।
সমাবেশে ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেন, গাজার মুসলিমরা আজ অভিভাবকশূন্য। ফিলিস্তিনের নারী, পুরুষ, শিশু ও বৃদ্ধরা ইসরায়েলি বাহিনীর নির্মম গণহত্যার শিকার হচ্ছেন। মুসলিম দেশগুলোর দ্বারা বেষ্টিত দখলদার ইসরায়েল মুসলমানদের পবিত্র ভূমি দখল করছে, অথচ দেশগুলো নির্বিকার। পরিস্থিতি এমন যে মুসলিম নেতারা যেন ইসরায়েলের হাতে জিম্মি।
ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি বলেন, ‘আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, আমরা যখন কর্মসূচিগুলো পালন করে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করার চেষ্টা করছি তখন বাংলাদেশের বিচ্ছিন্ন কিছু জায়গায় কিছু ভাইদেরকে দেখছি দোকানপাটে হামলা করে লুটপাট করছে, এগুলো কখনোই আমরা কামনা করি না। এ সকল হীন কর্মকাণ্ড থেকে সকলকে দূরে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
শিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিনের সঙ্গে যেভাবে একাত্মতা পোষণ করেছি, সেভাবে আমরা ইসরায়েলকে বয়কট করেছি। ভবিষ্যতে পুরো পৃথিবীবাসীকে নিয়ে ইসরায়েলকে বয়কট ও আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’