যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পেলো হামাসঝুম বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরলো সিলেটেজলবায়ু পরিবর্তনজনিত কতটা ঝুঁকিতে বাংলাদেশতানজানিয়ায় ভারী বৃষ্টি-ভূমিধসে নিহত ১৫৫মাসের শুরুতে বৃষ্টির আভাস, গরম কমা নিয়ে সংশয়
No icon

রাজধানীতে প্রবেশদ্বারে বিকেলে বিএনপির দুই সমাবেশ

আজ শুক্রবার রাজধানীতে পৃথক দুটি সমাবেশের আয়োজন করেছে বিএনপি। রাজধানী দুই প্রবেশমুখ আবদুল্লাহপুর ও যাত্রাবাড়ীতে শুক্রবার সমাবেশ দুটি অনুষ্ঠিত হবে। সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন ও খালেদা জিয়াসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।বেলা তিনটায় উত্তরার আবদুল্লাহপুরের পলওয়ে মার্কেট সংলগ্ন মাঠে সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।আর যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়কে সমাবেশ করবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি। বেলা তিনটায় এই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।এছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় শুক্রবার বাদ জুমা জেলা, মহানগর, থানা-উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন ওয়ার্ড পর্যায়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে বিএনপি।

ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচিতে ব্যর্থতার পর এবার সবকিছু গুছিয়ে মাঠে নামার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিরোধী দলগুলো। বিএনপি ঘোষিত ১৫ দিনের কর্মসূচির বাইরে যুগপৎভাবে গণতন্ত্র মঞ্চ ঢাকাকেন্দ্রিক চার দিনের, ১২ দলীয় জোট পাঁচ দিনের, এলডিপি চার দিনের ও গণঅধিকার পরিষদ (নুর) পাঁচ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ নেতা  জানান, চূড়ান্ত আন্দোলনের প্রথম ধাপে তারা শান্তিপূর্ণ ও গতানুগতিক কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। এ ধাপের কর্মসূচি থেকে সরকারের মনোভাব বোঝার চেষ্টা করবেন তারা। দাবি না মানলে কিংবা সরকার কঠোর হলে দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচি কঠোর হবে। এ ধাপে হরতাল-অবরোধের মতো ভিন্ন নামে কর্মসূচির প্রস্তাব করেছেন নীতিনির্ধারকরা। আর সেটা হবে ডু অর ডাই আন্দোলন।নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে আন্দোলনের প্রথম ধাপ আগামী ৩ অক্টোবরের পর চূড়ান্ত আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়ে একযোগে মাঠে থাকার ঘোষণা দিতে পারে বিএনপি। আর ওই আন্দোলনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই এবারের রোডমার্চ, সমাবেশের মতো কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। এসব কর্মসূচি দিয়ে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর কৌশলের পাশাপাশি একেবারে তৃণমূল নেতাকর্মীকে সক্রিয় করার উদ্যোগ রয়েছে। যাতে শেষ ধাপের কর্মসূচিতে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে রাজপথে ভূমিকা পালন করতে পারেন। এ জন্য সব ধরনের দিকনির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে কেন্দ্রীয়ভাবে।