আমাদের প্রত্যেকেরই কোনো না কোনো বদভ্যাস রয়েছে। সেটি বাড়িতে হোক কিংবা কর্মক্ষেত্রে। দিনের বড় একটা অংশ যেহেতু আমরা কর্মক্ষেত্রেই পার করি, সুতরাং বদভ্যাসগুলো না বদলালে নিন্দা এবং উপহাসের পাত্র হতে হবে এটিই স্বাভাবিক। ক্ষেত্রগুলো কী কী, তা হয়তো অনেকেই জানিনা। তাদের জন্যেই আজকের এই প্রতিবেদন-
১। কাজে দেরি করে আসা খুবই খারাপ অভ্যাস। সময়মত অফিসে আসার চেষ্টা করুন, পারলে কিছু সময় আগেই এসে পড়ুন। কিছুক্ষণ জিরিয়ে নিয়ে কাজে বসতে পারবেন।
২। প্রত্যেক মিটিং এ ১০ মিনিট পরে উপস্থিত হয়ে আপনি কিন্তু নিজেকেই ছোট করছেন। মিটিং এর কাগজপত্র গুছিয়ে আগেই উপস্থিত হন।
৩। অসুস্থতার অজুহাত দেওয়া খুবই বিরক্তিকর একটি অভ্যাস। কাজ করতে ইচ্ছে না হলে কিংবা কোনো সমস্যা থাকলে বসকে খুলে বলুন। অসুস্থতার মিথ্যে অজুহাত দিয়ে নিজেকে নিজেই তিরস্কার করছেন আপনি।
৪। ডেস্কে পারতপক্ষে খাবার না খাওয়াই উত্তম। তবুও যদি আপনার কর্মক্ষেত্রে এমনই সিস্টেম থাকে তাহলে চেষ্টা করবেন গন্ধযুক্ত খাবার না খাওয়ার। যেমন- পেঁয়াজ, রসুন, মাছ, সেদ্ধ ডিম ইত্যাদি।
৫। নেতিবাচকতা কোনো সময়ই সুখকর নয়। জীবনের সব ক্ষেত্রে নেতিবাচকতা থেকে দূরে থাকুন।
৬। কর্মক্ষেত্রে কোনভাবেই অলস হওয়া যাবে না। এতে আপনি সহকর্মীদের চোখে তো বটেই, নিজের ক্যারিয়ারের গতিও নিম্নে নামিয়ে ফেলছেন। প্রোডাক্টিভ থাকুন সর্বদা।
৭। গুরুত্বপূর্ণ মিটিং এর সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ট্যাটাস দেওয়া কিংবা ছবি আপলোড করা খুব কুরুচিপূর্ণ। এ কাজ থেকে অবশ্যই দূরে থাকবেন।
৮। ক্যারিয়ারে আপনি যদি এমন একটি ভাব নিয়ে থাকেন যে- আপনি সব জানেন, তাহলে আপনি বেশ বড় ভুল করছেন। সব সময় সিনিয়র সহকর্মীদের সাহায্য নিন। এতে আপনি তাদের আস্থাভাজন হয়ে উঠবেন। এরইসঙ্গে, অযথা চিৎকার চেঁচামেচি করে পরিবেশ নষ্ট করবেন না।
৯। অনেক নারীদের দেখা যায় যে- নিজ ডেস্কে বসেই তারা মেকআপ করছেন কিংবা চুল আঁচড়ে মুখে পাউডার লাগাচ্ছেন। এমন আচরণ খুবই লজ্জাজনক। যে কোনো প্রয়োজনে আপনি রেস্টরুমে যেতে পারেন।
১০। ব্যক্তিগত জীবনে দুঃখ-দুর্দশা কিংবা রাজনৈতিক ব্যাপারে আলোচনা করার স্থান মোটেও কর্মক্ষেত্র নয়। কারো সঙ্গে কিছু আলোচনা করার হলে অবশ্যই কর্মক্ষেত্রের বাইরে গিয়ে করুন। তা না হলে পরিবেশ দূষিত হবে ভীষণভাবে।