নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে খাদ্য উৎপাদক, প্রক্রিয়াজাত, ভোক্তাসহ সব পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানো জরুরি। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) যে জনবল রয়েছে তা দিয়ে সারাদেশে কাজ করা বেশ কঠিন। ভেজাল, পচা-বাসি খাবার বিক্রেতাদের জরিমানার পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে প্রয়োজন স্থায়ী ও কার্যকরী পদক্ষেপ।বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে বিএফএসএর প্রধান কার্যালয়ে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে গণমাধ্যমের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন।কর্মশালায় বিএফএসএর চেয়ারম্যান মো. আবদুল কাইউম সরকার বলেন, খাদ্য নিরাপদ হলে তা মানুষের সুস্বাস্থ্যের পাশাপাশি মেধা বিকাশেও সহায়ক হবে। বর্তমানে বিএফএসএতে কাজ করছেন ৩৩০ জন। এত কম জনবল দিয়ে সারাদেশের মানুষের জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা অনেক কঠিন কাজ। ভেজাল বা পঁচা-বাসি খাবার বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করাই এখন মূল কাজ। এজন্য গণমাধ্যমের ভূমিকাও জরুরি।
তিনি আরও বলেন, হোটেল-রেস্তোরাঁয় অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়। কিন্তু সে অর্থ বিক্রেতাদের অনেকে আবার ক্রেতাদের কাছ থেকেই আদায় করে নেন। তাই জরিমানার পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে স্থায়ী ও কার্যকরী পদক্ষেপ দরকার।
বিএফএসএর সদস্য মো. রেজাউল করিম বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত হলে তা দেশের চাহিদা মিটিয়ে তৈরি পোশাকের মতো রপ্তানি খাত হয়ে উঠতে পারে।এদিকে গতকাল আরেকটি অনুষ্ঠানে খাদ্য হোটেল-রেস্তোরাঁ, বেকারি, ফাস্টফুড, মিষ্টিসহ খাদ্য প্রস্তুতকারী ৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে নতুন করে গ্রেডিং ও ৪০টি প্রতিষ্ঠানকে রিগ্রেডিং (পুনরায় গ্রেডিং) স্টিকার দিয়েছে বিএফএসএ। ২০১৯ সাল থেকে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ এই স্টিকার দিয়ে আসছে। এ পর্যন্ত ১৫০টি প্রতিষ্ঠানকে গ্রেডিং স্টিকার দেওয়া হয়েছে। রিগ্রেডিং করা হয়েছে ৭১টির। মূল্যায়নে ৯০ বা তার বেশি নম্বর পেলে এ+ গ্রেড দেওয়া হয়। এর স্টিকার হচ্ছে সবুজ। ৮০ থেকে ৮৯ নম্বর পেলে এ গ্রেড এবং নীল স্টিকার দেওয়া হয়। এ ছাড়া ৭০ থেকে ৭৯ নম্বর পেলে বি গ্রেড ও হলুদ স্টিকার এবং ৭০ এর কম পেলে সি গ্রেড ও কমলা রঙের স্টিকার দেওয়া হয়।