অফিসে কাজের চাপ। বাড়িতে বয়স্কদের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা। প্রেমিকার সঙ্গে মনোমালিন্য। নানা চিন্তায় রাতে ঘুম হয় না। তাতেও মুখে হাসি নিয়ে চলছেন। ভাবছেন কেউ হয়তো কিছু বুঝতে পারবে না। কিন্তু সেটা হয় না। কথায় রয়েছে- মনের ছাপ মুখে পড়ে। আপনি যদি মানসিক চাপে থাকেন তার ইঙ্গিত আপনার শরীরই দিয়ে দেবে।কিছু শারীরিক অসুস্থতা রয়েছে যেখানে রোগ খুব সাধারণ হলেও চিকিৎসকরা তার কারণ খুঁজে পান না। এমন অনেক ঘটনা রয়েছে যেখানে প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে জ্বর আসছে। ওষুধ খেয়েও কমছে না জ্বর। এরপর জানা গেল- এর কারণ লুকিয়ে রয়েছে রোগীর মনের মধ্যে।মানসিক চাপে থাকলেও আমাদের শরীর একাধিক সূক্ষ্ম সংকেত দেয়। মনের কথা মুখ ফুটে না বললেও শরীর এমন কোনও ইঙ্গিত দেয় যা উপেক্ষা করা উচিত নয়। কিছু কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে যার পিছনে মানসিক চাপই দায়ী। এই সব শারীরিক সমস্যাগুলো কোনও ভাবেই উপেক্ষা করা উচিত নয়। উপরন্ত মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা জরুরি। এমন কিছু কিছু শারীরিক সমস্যা রয়েছে যা জানান দেয় আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের কথা।অনেক সময় এমনও হয় যখন আপনি প্রচণ্ড ক্লান্ত। সারাদিন ধরে অনেক মানসিক ধকল গেছে আপনার ওপর দিয়ে। দিনের শেষে মনে হয়- কোনও ভাবে ঘুমিয়ে পড়লে হয়তো শরীর ঠিক হয়ে যাবে।
কিন্তু সেটা হয় না। ক্লান্ত থাকার সত্ত্বেও আপনি ঘুমাতে পারেন না। মানসিক চাপের কারণে দেখা দেয় অনিদ্রার সমস্যা।কাপের পর কাপ কফি খেয়েও কাজে মনোযোগ দিতে পারছেন না। বেড়ে চলেছে মাথার যন্ত্রণা। আপনি যেটাকে মাইগ্রেন বলে ভাবছেন সেটা হল ঘন ঘন মাথা ব্যথা। এই সমস্যা তখনই দেখা দেয় যখন আপনি অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকেন। যদিও মাইগ্রেন এবং মাথা যন্ত্রণার বিষয়টি পুরোপুরি আলাদা। তবুও ঘন ঘন মাথা ব্যথার এই সমস্যা দেখা দেয় মানসিক চাপের কারণে।অনেক সময় রাতে ঘুম না হলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দেয়। আবার মানসিক চাপের কারণেও তৈরি হয় বদহজমের সমস্যা। তার কারণ পাচনতন্ত্র বিভিন্ন স্নায়ু দ্বারা মস্তিষ্কের সঙ্গে যুক্ত। তাই যখনই মানসিক চাপ বাড়ে তার প্রভাব পড়ে হজমের ওপর। ক্রমাগত এই চাপ চলতে থাকার কারণে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের ঝুঁকি বেড়ে যায়।একটানা বসে কাজ করলে ঘাড়, কাঁধ এবং পিঠে ব্যথা হতে শুরু করে। এই উপসর্গ কিন্তু মানসিক চাপের কারণেও দেখা দেয়। আপনি হয়তো ভাবছেন যে শারীরিক পরিশ্রম করছেন না বলে এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কিন্তু আসল সত্যি হল ব্যায়াম না করার সঙ্গে আপনি অতিরিক্ত মানসিক চাপে ভুগছেন। এই সব সমস্যাকে উপেক্ষা করবেন না।