ইসরাইলি গণহত্যায় নিশ্চিহ্ন ২৭০০ ফিলিস্তিনি পরিবারদুপুরের মধ্যে ঢাকায় হালকা বৃষ্টির আভাসডাকসু নির্বাচন ঘিরে ঢাবিতে তিন দিনের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থাপ্রশাসনের শীর্ষপদে গুরুত্ব পাচ্ছে ব্যক্তিগত পছন্দডাকসুর ভোটকেন্দ্রে মোবাইল-ব্যাগসহ যেসব জিনিস বহনে নিষেধাজ্ঞা
No icon

ইসরাইলি গণহত্যায় নিশ্চিহ্ন ২৭০০ ফিলিস্তিনি পরিবার

গাজার মাটি আজ শোকের ভারে চাপা। প্রায় দু বছর ধরে অবিরতই চলছে ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞ। গাজায় চলমান এই গণহত্যায় ইতিমধ্যেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে ২৭০০ ফিলিস্তিনি পরিবার। সে সঙ্গে অঞ্চলটির ৯০ শতাংশ অবকাঠামো ধ্বংস করেছে বর্বর সেনারা। তবুও যুদ্ধ থামার নাম নেই। বরং দিনের পর দিন আরও বেড়েই চলেছে সেনাদের নৃশংসতা। শনিবার গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুদ্ধের ফলে প্রায় ৯০ শতাংশ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রাথমিক ক্ষতি ৬৮ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। দখলদাররা সামরিক শক্তি এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির মাধ্যমে গাজার ৮০ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করছে। আনাদোলু। ফিলিস্তিনে জাতিগত নির্মূলের চলমান পরিস্থিতিতে লজ্জাজনক আন্তর্জাতিক নীরবতারর নিন্দাও জানিয়েছে মিডিয়া অফিস। বিবৃতিতে আরও বলেছে, ২০২৩ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরাইল গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে ৭৩ হাজার ৭৩১ ফিলিস্তিনি নিহত কিংবা নিখোঁজ রয়েছেন। এদের মধ্যে ২০ হাজারেরও বেশি শিশু এবং ১২ হাজার ৫০০ জন নারী। গাজার মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এই দখলদারিত্বের ফলে ২ হাজার ৭০০ পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ১ হাজার ৬৭০ জন চিকিৎসাকর্মী, ২৪৮ জন সাংবাদিক, ১৩৯ জন বেসামরিক উদ্ধার কর্মী এবং ১৭৩ জন পৌর কর্মচারী নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে ১ লাখ ৬২ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

গাজায় গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাজ্য এবং মরক্কোর পাশাপাশি এবার সুইডেন এবং ফ্রান্সেও হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। শনিবার সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে নাগরিক সমাজের বিভিন্ন সংগঠনগুলোর আহ্বানে সাড়া দিয়ে শত শত বিক্ষোভকারী ওডেনপ্ল্যান স্কোয়ারে জড়ো হন। গাজায় ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধ বন্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সুইডিশ সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। অপরদিকে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী প্লেস দ্য লা রিপাবলিকের সামনে জড়ো হয়ে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়িয়ে গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। একই দিনে যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে প্যালেস্টাইন অ্যাকশন গ্রুপের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন হাজারো মানুষ। এ সময় ৪২৫ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভাকারীদের ধস্তাধস্তি হয়। এ বিক্ষোভের আয়োজন করে ডিফেন্ড আওয়ার জুরিস নামের একটি ক্যাম্পেইন গ্রুপ। তারা জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট স্কয়ারে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে প্রায় দেড় হাজার মানুষ অংশ নেন। এদিকে গাজা সিটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বহুতল ভবনটি গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। চলমান যুদ্ধে কাছাকাছি সময়ের মধ্যে প্রথম বড় কোনো টাওয়ারকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করল আইডিএফ।