পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন কুয়েতের আমির শেখ মিশাল আল–আহমাদ আল–সাবাহ। সেই সঙ্গে পার্লামেন্টের কিছু দায়িত্ব সরকার নিয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সাধারণ নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ পর ৫০ আসনের পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হলো। গত শুক্রবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন শেখ মিশাল আল–আহমাদ আল–সাবাহ। কুয়েতের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনে তাঁর ভাষণ সম্প্রচার করা হয়। ভাষণে তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া এবং কিছু দায়িত্ব নিজের ও রাজতন্ত্র–নিযুক্ত মন্ত্রিসভার ওপর বর্তানোর কথা জানান।
কুয়েতের আমির দেশটির সংবিধানের কিছু অনুচ্ছেদ স্থগিতের কথা জানান। তিনি বলেন, চার বছরের বেশি সময় এসব থাকবে না। তবে সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদ স্থগিত করা হবে, তা বিস্তারিত উল্লেখ করেননি তিনি। শেখ মিশাল আল-আহমাদ আল-সাবাহ আরও বলেন, আমরা কিছু অসুবিধা ও বাধার মুখোমুখি হচ্ছি। এসব মেনে নেওয়া যায় না।
গত এপ্রিলে কুয়েতে নির্বাচন হয়েছে। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে কুয়েতের আমির হন শেখ মিশাল আল–আহমাদ আল–সাবাহ। সৎভাই ও সাবেক আমির শেখ নওয়াফ আল–আহমাদ আল–জাবের আল–সাবাহর মৃত্যুর পর কুয়েতের নতুন আমির হন শেখ মিশাল। বলা হচ্ছে, পার্লামেন্ট ও মন্ত্রিসভার মধ্যে বিরোধ ক্রমেই বাড়ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে কুয়েতের আমিরের পক্ষ থেকে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। কুয়েতের পার্লামেন্টে আগামীকাল সোমবার অধিবেশন বসার কথা ছিল। তবে কয়েকজন রাজনীতিবিদ সরকারে অংশ নিতে অস্বীকার করায় রাজনৈতিক অচলাবস্থা দেখা দেয়।