
সাত গোলের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে দারুণ জয় তুলে নিল বার্সেলোনা। লা লিগায় সেল্তা ভিগোর বিপক্ষে এক পর্যায়ে ৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত ৪-৩ ব্যবধানের জয় পেয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।শনিবার ঘরের মাঠের এই জয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধারের পথে আরেকটু এগিয়ে গেল বার্সা। জোড়া গোল করে বার্সেলোনার জয়ে দারুণ ভূমিকা রাখেন রাফিনিয়ার। যোগ করা সময়ের অষ্টম মিনিটে ঠাণ্ডা মাথার সফল স্পট কিকে তিনিই গড়ে দেন ব্যবধান। বার্সেলোনার অন্য দুটি গোল করেন ফেররান তরেস ও ওলমো। আর সেল্তার হয়ে হ্যাটট্রিক করেন বোর্হা ইগলেসিয়াস।বার্সাকে এদিন গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। দ্বাদশ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল পায়ে এগিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন তরেস। তবে তিন মিনিট পর প্রথম ভালো সুযোগ পেয়েই সমতা ফেরায় সেল্তা। ডানদিক থেকে পাবলো দুরানের ক্রস ঝাঁপিয়েও নাগালে পাননি বার্সেলোনা গোলরক্ষক ভয়চেখ স্ট্যান্সনি। ফাঁকা জালে বল পাঠান ইগলেসিয়াস।বিরতির পর ৫২তম মিনিটে বার্সেলোনার ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে দলকে এগিয়ে নেন ইগলেসিয়াস। মাঝমাঠে ফ্রেংকি ডি ইয়ং ও মার্তিনেসের ব্যর্থতায় বল পেয়ে যান ইগলেসিয়াস, আড়াআড়ি শটে বাকিটা সারেন তিনি।
৬২তম মিনিটে আরেক গোল হজম করে বার্সেলোনা। প্রতি-আক্রমণে ওয়ান-অন-ওয়ানে স্ট্যান্সনিকে অনায়াসে পরাস্ত করে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ইগলেসিয়াস। কিন্তু দুই মিনিট পর ওলমোর গোলে ব্যবধান কমায় বার্সেলোনা। রাফিনিয়ার দুর্দান্ত পাসে গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান চোট কাটিয়ে ফেরা স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড। ঠাণ্ডা মাথার ফিনিশিংয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি।এরপর ৬৮তম মিনিটে বার্সেলোনাকে সমতায় ফেরান রাফিনিয়া। লামিনিয়ার চমৎকার ক্রসে লাফিয়ে দুর্দান্ত ক্রসে বাকিটা সারেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।অবশেষে, যোগ করা সময়ের অষ্টম মিনিটে জয়সূচক গোলের দেখা পায় বার্সেলোনা। চলতে আসরে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনিয়ার এটি পঞ্চদশ গোল। ওলমোকে সেল্তা ডিফেন্ডার ইয়োয়েল লাগো ফাউল করায় মনিটরে রিপ্লে দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। শিরোপা লড়াইয়ে এই গোল ও জয়ের মূল্য কতখানি, তা বার্সেলোনার উদযাপন দেখেই বোঝা যাচ্ছিল।লিগে ৩২ ম্যাচে ২৩ জয় ও চার ড্রয়ে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে চূড়ায় বার্সেলোনা। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়াল মাদ্রিদ ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে।