এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘এ ঘটনায় ভারত সরকার গভীর উদ্বেগ এবং দৃঢ় প্রতিবাদ জানিয়েছে। কানাডা এ ধরনের কর্মকাণ্ড অনিয়ন্ত্রিতভাবে চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে যা উদ্বেগের। আবারও প্রমাণ হলো, কানাডায় বিচ্ছিন্নতাবাদ, চরমপন্থা ও সহিংসতাকে রাজনৈতিক প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘তাদের অভিব্যক্তি শুধু ভারত-কানাডা সম্পর্ককে প্রভাবিত করে না বরং কানাডায় সহিংসতা ও অপরাধের পরিবেশকে তার নিজের নাগরিকদের ক্ষতির জন্য উৎসাহিত করে।’ কানাডাভিত্তিক সিপিএসি টিভিতে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্রুডো খালসা দিবস উপলক্ষে ভাষণের মঞ্চে উঠার পর ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান আরও জোরে দেওয়া হতে থাকে।
হাজার হাজার মানুষ রোববার শহরের সবচেয়ে বড় বার্ষিক সমাবেশের উদ্দেশে টরন্টোর কেন্দ্রস্থলে উপস্থিত হয়। ট্রুডো তার ভাষণে গত বছর শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যায় ভারত জড়িত বলে অভিযোগ করে। এছাড়াও কানাডায় শিখদের অধিকার ও স্বাধীনতা সর্বদা রক্ষা করার এবং সম্প্রদায়কে ঘৃণা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রুডো।
ভারত কানাডা সরকারের অভিযোগকে ‘অযৌক্তিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। বরং অটোয়া শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ জানিয়েছে দিল্লি।