ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সোমবার বলেছেন, তার দেশ কোনো স্বৈরাচারের দিকে ধাবিত হচ্ছে না। তার সরকার চলমান লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীদের দুর্বল করতে অপরাধমূলক তদন্তকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে; এমন অভিযোগের পর এ কথা বলেছেন মোদি।
প্রায় এক দশক ক্ষমতায় থাকার পরেও ভারতীয়দের মধ্যে মোদির জনপ্রিয়তা বাড়ছে। চলতি লোকসভা নির্বাচনেও তিনি তৃতীয় মেয়াদে জয়ী হবেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সম্প্রতি মোদির বিরোধীদের বিরুদ্ধে যে তদন্তমূলক পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে তাতে তার পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা আরও বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারিতে ভারতের সবচেয়ে বড় বিরোধী দল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কর সংক্রান্ত মামলায় তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছিল।
কিন্তু মোদি বলেছেন, তার শাসনে ভারত ‘নির্বাচনী স্বৈরাচার’ হয়ে উঠছে তা তার ক্ষোভ প্রতিদ্বন্দ্বীদের ওপর ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে; এসবই কল্পকাহিনী মাত্র। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে সোমবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বিরোধীরা ক্ষমতায় আসতে না পেরে বিশ্ব মঞ্চে ভারতের মানহানি করা শুরু করেছে। তারা আমাদের জনগণ, আমাদের গণতন্ত্র এবং আমাদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মিথ্যা ছড়িয়েছে।’
২০১৪ সালে মোদি ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সূচক উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো অধিকার গোষ্ঠীকেও তাদের স্থানীয় কার্যক্রম মারাত্মকভাবে হ্রাস করতে হয়েছে।