হঠাৎ করেই ইসরায়েলে ইরানের হামলায় অনেকেরই চোখ চড়কগাছ। অনেকেই এই সংঘাত বহুগুণে ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা করছিলেন। তবে আপাতত সেই রেষারেষির সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক ও সামরিক বিশ্লেষকরা। কারণ, ইরানের হামলার পাল্টা ব্যবস্থা হিসাবে ইসরায়েল ইসফাহানে যে হামলা চালিয়েছে, তাকে গায়েই মাখেনি ইরান। সেই সাথে তেহরান জানিয়েছে, আপাতত এর প্রতিক্রিয়া জানানোর কোনো ইচ্ছা তাদের নেই। আর আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলও ইরানে হামলা চালানোর বিষয়টি স্বীকার করেনি।হামলার পর ইসরায়েলের আনুষ্ঠানিক নীরবতা রাজনীতির মঞ্চে ইরানকেই সুবিধা করে দিয়েছে। ফলে ইরানকে আর কোনো আনুষ্ঠানিক হামলা চালাতে হচ্ছে না। ফলে সংঘাত ছড়ানোর আশঙ্কা আপাতত খানিকটা হ্রাস পেয়েছে। এ মুহূর্তে ইরান কিছুটা তার প্রভাব নিয়ে সন্তুষ্টিতেও ভুগছে।নিজেদের কৌশলগত ধৈর্য নিয়ে ইরান কয়েক বছর ধরে গর্ববোধ করেছে। ইরানের নীতি হচ্ছে, কোনো উস্কানির বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ও সরাসরি প্রতিক্রিয়া না জানিয়ে দীর্ঘমেয়াদে তার জবাব দেওয়া।এ মুহূর্তে ইরান কৌশলগত প্রতিরোধ -এর নীতি শুরু করেছে। গত ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে হামলার পর নতুন এ কৌশল শুরু করে ইরানের। ওই হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ মোট সাত কর্মকর্তা নিহত হন।গত এক দশক ধরেই ইসরায়েল-ইরানের মধ্যে এ সংঘাত চলে আসছে। আগে এটি ছিল ছায়াযুদ্ধ ও গোপন অভিযানে সীমাবদ্ধ। এ মুহূর্তে এসে তা প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে রূপ নিয়েছে।