পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে সুইডেনের সদস্য হওয়ার প্রক্রিয়ায় শেষ বাধা হয়ে ছিল হাঙ্গেরি। আজ হাঙ্গেরির পার্লামেন্টে সুইডেনের পক্ষে সায় দিয়েছে হাঙ্গেরির ক্ষমতাসীন দল।হাঙ্গেরির ভোট সুইডেনের নিরাপত্তা নীতির পরিবর্তন ঘটাতে কয়েক মাস বিলম্বের অবসান ঘটিয়েছে এবং শুক্রবার সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসনের সফরের পর দুই দেশ একটি অস্ত্র চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।সুইডেনের ন্যাটোতে সদস্যপদের জন্য হাঙ্গেরির পার্লামেন্টে ১৮৮ জন আইনপ্রণেতা সমর্থন দেয়। এতে বিরোধীতা করেন ৬ জন এবং সব আইনপ্রণেতাই ভোট দেন।এতে করে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানের সরকার ন্যাটো মিত্রদের চাপের মুখে পড়ে এবং ন্যাটো জোটে সুইডেনের পক্ষে সায় জানায়।নানামুখী আলোচনা-সমালোচনার পর ন্যাটো জোটের সদস্য হতে গত বছর আনুষ্ঠানিক আবেদন করেছিল সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। এর মধ্য দিয়ে দেশ দুটি কয়েক দশকের নিরপেক্ষতার নীতি ত্যাগ করে।মূলত রাশিয়ার আগ্রাসনের ভয়ে সুইডেন ও ফিনল্যান্ড ন্যাটোর সদস্য হতে চায়। নীতিগতভাবে স্টকহোমকে সমর্থন করলেও হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবানকে নিয়ে সমালোচনার কারণে সুইডেনকে ন্যাটো জোটে নিতে রাজি ছিল না হাঙ্গেরি। অবশেষে ন্যাটোতে যোগদানের জন্য শেষ ধাপ পাড়ি দিল সুইডেন।