বেড়েছে AI কম্পিউটারের বাজারশিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধালেবাননে ইসরায়েলের ৮ শতাধিক সেনা নিহতদেশে গ্যাস উৎপাদন কমছেচালানোর সক্ষমতা নেই এমন কারখানা বন্ধ করা হবে
No icon

সীমান্তবর্তী দেশগুলো থেকে বিনিয়োগ প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করছে ভারত

সীমান্তবর্তী দেশগুলো থেকে পাওয়া বিনিয়োগ প্রস্তাব পুনর্বিবেচনা করছে ভারত। বর্তমানে চীনসহ আশপাশের দেশগুলো থেকে যাওয়া বিনিয়োগ প্রস্তাব অতিরিক্ত যাচাই-বাছাই করে তারপর অনুমোদন দিচ্ছে মোদী সরকার। কিন্তু এই প্রক্রিয়া ধীরগতির হওয়ায় সেখানে প্রস্তাব অনুমোদনের গতি কমে গেছে, ফলে কমেছে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগও। এবার সেসব কড়াকড়ি শিথিলের পরিকল্পনা করছে ভারত সরকার। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বর্তমানে নরেন্দ্র মোদীর সরকার ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত রয়েছে এমন দেশগুলো অথবা এ ধরনের দেশের অন্তত একজন বিনিয়োগকারী থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগ প্রস্তাব সতর্কতার সঙ্গে যাচাই করে তারপর অনুমোদন দেয়। কিন্তু এবার যেখানে তথাকথিত উপকারভোগী মালিকানা ১০ শতাংশের কম, তাদেরও ছাড় দেওয়ার বিষয় বিবেচনা করা হচ্ছে।নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তাদের বরাতে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, প্রায় ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব লাল ফিতার দৌরাত্মে আটকে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কড়াকড়ি শিথিলের চিন্তা শুরু করেছে ভারত সরকার।

আগামী মাসের মধ্যেই বিষয়টি অনুমোদন পেতে পারে।সম্প্রতি চীনের সঙ্গে সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এ ধরনের বিদেশি বিনিয়োগে অতিরিক্ত কড়াকড়ি আরোপ করে ভারত। সুবিধাবাদী দখলদারিত্বের বিষয়টিও তাদের চিন্তায় ছিল। এই কড়াকড়ির কারণে চীন-হংকংসহ প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে যাওয়া বিনিয়োগ প্রস্তাবের অনুমোদন গতি হারিয়ে ফেলে।শুধু প্রস্তাব অনুমোদনে বিলম্বই নয়, এসব বিধিনিষেধ বিনিয়োগকারীদের চুক্তি করার ক্ষেত্রেও জটিলতা সৃষ্টি করে। সমস্যায় পড়ে বিদেশি বিনিয়োগের আশায় থাকা স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো।বলা হচ্ছে, কড়াকড়ি শিথিলের পদক্ষেপ মূলধন ঘাটতিতে থাকা ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিদেশি বিনিয়োগের দুয়ার প্রশস্ত করবে।২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ১০০টির বেশি প্রস্তাব ভারত সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় ছিল, যার মধ্যে অন্তত এক-চতুর্থাংশে একেকটিতে এক কোটি ডলার বিনিয়োগের কথা রয়েছে।