বেড়েছে AI কম্পিউটারের বাজারশিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধালেবাননে ইসরায়েলের ৮ শতাধিক সেনা নিহতদেশে গ্যাস উৎপাদন কমছেচালানোর সক্ষমতা নেই এমন কারখানা বন্ধ করা হবে
No icon

স্বচ্ছ ও বিস্তারিত তদন্তের দাবি জাতিসংঘের

গণতন্ত্রকামীদের রক্তে রাঙা মিয়ানমার। নিজেদের দাবি আদায়ে বেয়নেটকেও পরোয়া করছে না দেশটির সাধারণ মানুষ। আর সেই স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন থামাতে একের পর এক হত্যালীলা চালাচ্ছে বার্মিজ সেনাবাহিনী। সম্প্রতি মিয়ানমারের কায়াহ প্রদেশে প্রকাশ্যে এসেছে এমনই এক গণহত্যার খবর। আর সেই ঘটনায় বিস্তারিত ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়ে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার ওপর চাপ বাড়াল জাতিসংঘ।গত ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে মিয়ানমারের শাসনভার নিজেদের হাতে নেয় বার্মিজ সেনাবাহিনী। সেই অভ্যুত্থানের পর থেকেই অশান্ত মিয়ানমার। সর্বশক্তি প্রয়োগ করেও একদল প্রতিবাদীকে দমিয়ে রাখতে পারেনি বার্মিজ সেনারা। বেশ কয়েকটি মিলিশিয়া সেনার বিরুদ্ধে ক্রমাগত লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তারা। তাদের দমন করতে নির্বিচারে হত্যালীলা চালাচ্ছে সেনা বলে অভিযোগ।কায়াহ প্রদেশে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল বিদ্রোহীরা। সেই প্রতিরোধ ভাঙতেই গত শুক্রবার রাতে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী।

প্রমাণ মুছে ফেলতে ৩০ জনের লাশ জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বলেও খবর সামনে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি তুলে ধরেছে মিয়ানমারের স্থানীয় একটি মানবাধিকার সংগঠন। এরপর থেকেই মিয়ানমার সামরিক জান্তার ওপর চাপ বাড়াচ্ছে জাতিসংঘ। রবিবার সেই হত্যাকান্ড নিয়ে জাতিসংঘের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, এই ঘটনা দেখে আমরা আতঙ্কিত। এর বিস্তারিত ও স্বচ্ছ তদন্ত করতে হবে মিয়ানমার সরকারকে।জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেল ফর হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, সাধারণ জনতার ওপর সব ধরনের হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি আমরা। এমন ঘটনা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থী। আমি মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের কাছে আবেদন জানাচ্ছি তারা যেন সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করে।উল্লেখ্য, কায়াহ প্রদেশের ঘটনা নতুন নয়। এর আগেও একাধিক হত্যালীলার অভিযোগ রয়েছে বার্মিজ সেনাদের বিরুদ্ধে।