গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১২০ ফিলিস্তিনি আজ শপথ নিচ্ছে নতুন নির্বাচন কমিশনরমজানে কঠিন সংকটের শঙ্কাপ্রহসনের তিন নির্বাচনে জড়িতদের তালিকা চূড়ান্তবিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন
No icon

সুস্থ ও সুন্দর থাকতে জীবনে আনুন ৬ অভ্যাস

অভ্যাসের পরিবর্তন আমাদের স্বাস্থ্যের উপর দারুণ প্রভাব পড়ে। অভ্যাস এবং জীবনধারার উপরেই দাঁড়িয়ে রয়েছে আমাদের সুস্বাস্থ্যের পরিকাঠামো। অভ্যাস যদি সঠিক থাকে তাহলে ডায়েটও করতে হবে না। অভ্যাস ও জীবনধারার মাধ্যমেই সুষ্ঠুভাবে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো সম্ভব। সামগ্রিকভাবে শরীরকে সুস্থ রাখতে জীবনে কয়েকটি অভ্যাস তৈরি করতে হবে আর সেগুলি কী কী, তা দেখে নিন একনজরে-

মৌসুমি ফল খাওয়া-সুস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে মৌসুমি ফল খাওয়া অন্যতম শক্তিশালী অভ্যাস। ফলের মধ্যে রয়েছে ফাইবার, যা সুস্থ থাকার ও ওজন কমানোর চাবিকাঠি। সবসময় খালি পেটে ফল খাওয়ার দিকে মনোযোগ দিন। আপনি যে মৌসুমি ফলই পছন্দ করেন না কেন, দিনে দুই-তিনটি ফল খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।

দিনে এক বাটি সালাদ খান-খাবারের আগে সালাদ ক্ষুধা মেটাতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত খাওয়া রোধ করে। সালাদে যে সবজি খান না কেন, তা সবসময়ই সুস্বাস্থ্য এবং ভালো মানের ফাইবারের চাবিকাঠি। খাবারের আগে সালাদ খাওয়াও আমাদের শরীরকে ক্ষারীয় করে তোলে।

খাবার খাওয়ার জন্য সঠিক সময়-সঠিক খাবার খাওয়া যেমন গুরুত্বপূর্ণ, ঠিক সময়ে খাওয়াও সমান গুরুত্বপূর্ণ। একটি সাধারণ জীবনধারা পরিবর্তন যা সবাই করতে পারে তা হল দ্রুত রাতের খাবার খাওয়া। দ্রুত রাতের খাবার খাওয়ার বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। তার মধ্যে একটি হল একটি ভাল পাচনতন্ত্র। বিলম্বে রাতের খাবার খাওয়া হজমের জন্য ক্ষতিকর। সবসময় চেষ্টা করা উচিত সন্ধ্যা ৭ বা ৭.৩০ মিনিটের মধ্যে রাতের খাবার শেষ করা।

১২ ঘন্টা বিরতিহীন উপবাস-আমাদের শরীরের নিজেকে নিরাময় করার একটি সহজাত ক্ষমতা রয়েছে। মাঝে মাঝে আমাদের অন্ত্র এবং পরিপাকতন্ত্রকে বিশ্রাম দেওয়া উচিত। তার জন্য একটি সহজ উপায় হল সর্বনিম্ন ১২ ঘন্টা বিরতিহীন উপবাস অনুশীলন করা। রাত ৮ টার মধ্যে আপনার ডিনার শেষ করার চেষ্টা করুন এবং তার পরে ১২ ঘন্টা কিছু খাবেন না।

সময়মতো ঘুমানো-ভালো ঘুম ভালো স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যক। লেপটিন হরমোন আমাদের ক্ষুধামন্দায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভাল ঘুম যদি না হয় তাহলে খাওয়ার প্রতি অনীহা জন্মায়। তাই পর্যাপ্ত ঘুমের দিকে মনোযোগ দেওয়া দরকার। সময়মতো ঘুমাতে যান। ঘুমের ঠিক একঘণ্টা আগে টিভি, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ইত্যাদি দেখবেন না।

সুষ্ঠু জীবনযাপন ও মানসিক শান্তি-দুর্বল ঘুমের মতো, জীবনযাত্রার রোগ বৃদ্ধির আরেকটি বড় কারণ হল মানসিক চাপ। মানুষ হিসাবে আমাদের প্রতিদিন ৭০-৮০ হাজার চিন্তা মাথার মধ্যে ঘোরে। প্রতিটি চিন্তার একটি আবেগ রয়েছে। চাপ, ভয়, উদ্বেগ বা ভালবাসা, আনন্দ, সুখ এবং কৃতজ্ঞতার সঙ্গে বাঁচুন। আমরা যখন ক্রমাগত মানসিক চাপের মধ্যে থাকি, তখন আমাদের শরীর আরও প্রোটিন নিঃসরণ করে। তার ফলে নানান শারীরিক সমস্যা তৈরি হয়।