নির্বাচনের পর দেশ স্থিতিশীল হলে গতি ফিরবে অর্থনীতিতেদেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা শিক্ষকদেরউত্তরের দুই জেলায় শীতের প্রকোপবাংলা একাডেমির ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজকমপ্লিট শাটডাউনে যাচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা
No icon

নির্বাচনের পর দেশ স্থিতিশীল হলে গতি ফিরবে অর্থনীতিতে

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে যদি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসে এবং নতুন সরকার যদি ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নে মনোযোগী হয়, তাহলে দেশের অর্থনীতিতে গতি ফিরবে। তবে আর্থিক ও ব্যাংক খাতে স্থিতিশীলতা, জ্বালানি নিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন সংস্কারের উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সর্বশেষ মাসিক অর্থনৈতিক হালনাগাদ (নভেম্বর-২০২৫) প্রতিবেদনে এ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়। গত সোমবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। প্রতি মাসে অর্থনীতির ওপর হালনাগাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে জিইডি। এতে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য, প্রবাসী আয়, মূল্যস্ফীতিসহ অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র নিয়ে আলোকপাত করা হয়।নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একদিকে অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, অন্যদিকে স্থায়ী উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ব্যবসায় আস্থার ঘাটতি ও দুর্বল ব্যাংকিং খাত স্থানীয় চাহিদা ও বেসরকারি বিনিয়োগকে সীমিত করতে পারে। যদিও অনেক বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তা নতুন বিনিয়োগ করতে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অপেক্ষায় রয়েছেন। অবশ্য, নির্বাচনকেন্দ্রিক ব্যয় ও রাজনৈতিক অস্থিরতা মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দিতে পারে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবস্থান আগের তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে। গত বছরের নভেম্বরে মোট রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২৫ সালের অক্টোবরে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বেড়েছে, যা দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অবস্থান ভালো হওয়ার বড় কারণ। তবে রপ্তানি আয়ের সূচক ওঠানামা করেছে। বিশেষ করে ২০২৫ সালের এপ্রিল ও জুনে রপ্তানি আয়ে পতন দেখা যায়। অক্টোবরে এই সূচকের অবস্থানে উন্নতি দেখা যায়।মূল্যস্ফীতি সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, মূল্যস্ফীতি ধীরে ধীরে কমছে। এর কারণ খাদ্যের দাম স্থিতিশীল হচ্ছে ও সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরীণ সরবরাহ ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা এসেছে। আমদানি করা পণ্যের চাপ কম থাকায় চলতি বছরের অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ, যা গত বছরের অক্টোবরে ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে আসার বড় কারণ হচ্ছে, খাদ্য মূল্যস্ফীতি কম রয়েছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ২০২৪ সালের অক্টোবরের ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালের অক্টোবরে ৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশে নেমে এসেছে। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতিতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে চাল। অক্টোবরে খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে চালের অবদান ছিল ৪৭ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বরের তুলনায় সামান্য কম। অন্যদিকে, মাছ ও মাংসের অংশ ছিল যথাক্রমে ৩৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ ও ১৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ। মৌসুমি সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার ফলে সবজির দাম কম ছিল।