সারা দেশে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মহাসমাবেশ আজডিসেম্বরেই নির্বাচন দিতে হবে, আগে রোডম্যাপবাংলাদেশ ভ্রমণে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কবার্তাগাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৫২ ফিলিস্তিনি নিহতসকালের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের শঙ্কা
No icon

ডিসেম্বরেই নির্বাচন দিতে হবে, আগে রোডম্যাপ

ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে সমমনা রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার ১২ দলীয় জোট ও এলডিপির সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৈঠকে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনে উভয় পক্ষ একমত হয়েছে বলে বৈঠক শেষে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। আজ রবিবার বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।জানা গেছে, প্রত্যাশিত সময়ে নির্বাচন না দিলে দীর্ঘদিন ধরে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে যারা আন্দোলনে ছিলেন, তাদের সবাইকে নিয়ে রাজপথে নামার ইঙ্গিত আছে বাম জোটের নেতাদের বক্তব্যে। তবে বিএনপি মনে করে, এখনই আন্দোলন নয়। সবার সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ইতিপূর্বে বিএনপির সঙ্গে যেসব ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল বৈঠক করেছে, তারাসহ আরও কিছু দল বিএনপির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বৈঠক করবে বলে জানা গেছে।গতকাল জাতীয় নির্বাচন, সংস্কার এবং ফ্যাসিস্টদের বিচারসহ নানা ইস্যুতে ১২ দলীয় জোট ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। বৈঠকে প্রত্যেক দলের পক্ষ থেকে নিজস্ব কর্মসূচি পালন এবং জনমত গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে একমত হয়েছেন নেতারা। তাদের দাবি- ডিসেম্বরের মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন করা সম্ভব। বিগত ১৬ বছর ধরে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। এই মুহূর্তে জনগণ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করে। এ জন্য দ্রুততম সময়ে ন্যূনতম প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে বর্তমান সরকারকে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে। তার আগে নির্বাচনী রোডম্যাপ চান দল ও জোটের শীর্ষ নেতারা। তারা আরও বলছেন- অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ফসল। রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থনের সরকার। তাই নির্বাচনের দাবিতে এখনই আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা দেখছেন না বৈঠকে অংশ নেওয়া দলগুলো। তবে তাদের অভিন্ন দাবিতে জনমত গঠনে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বৈঠক থেকে।বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রত্যেক দলের নেতারা মনে করছেন- চলতি বছরের ডিসেম্বরই নির্বাচনের উপযুক্ত সময়। বিলম্ব হলে ফ্যাসিস্টরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। দেশ নিয়ে দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র হতে পারে। তাই সবাই চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ, তাদের দোসর এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিষয়ে একমত পোষণ করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে বিএনপিসহ গণতন্ত্রমনা অন্যান্য দল ও তাদের নেতাদের নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার চলছে। সে সব প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন থাকার পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বৈঠকে প্রত্যেক দলের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে একটি কনভেনশন আকারে নির্বাচনের দাবি উত্থাপনের বিষয়ে আলোচনা করেন নেতারা। তবে এ বিষয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে। ঘাপটি মেরে থাকা প্রশাসনের দোসরদের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে বৈঠক থেকে।বৈঠক শেষে লিয়াজোঁ কমিটির সদস্য ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, অনেক বিষয়ে একমত হয়েছে বিএনপি। সরকার ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলেছে। কিন্তু আমরা চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন চাই। ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামী লীগের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করেন সবাই। তিনি বলেন, নির্বাচনের দাবিতে এখনই আন্দোলনের প্রয়োজন দেখছে না বিএনপি। কারণ, এই সরকারকে তো আমরা সমর্থন দিয়ে বসিয়েছি।