নির্বাচন কমিশনের পরিচালক (জনসংযোগ) শরীফুল আলম জানিয়েছেন, আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহকারীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারযোগ্য ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ এবং মৃত ভোটারদের ভোটার তালিকা থেকে নাম কর্তনের তথ্যাদি সংগ্রহ করবেন। রবিবার (৫ জানুয়ারি) তিনি এ তথ্য জানান।তিনি বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদে আগামী ২০ জানুয়ারি থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যা চলবে ২ সপ্তাহব্যাপী।২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি অথবা এর আগে যাদের জন্ম তাদের ও বিগত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যারা বাদ পড়েছেন তাদের তালিকাভুক্তি এবং মৃত ভোটারদের ভোটার তালিকা থেকে কর্তনের জন্য তথ্যাদি সংগ্রহ করা হবে।এ সময়ে তথ্য সংগ্রহকারী ও সুপারভাইজাররা ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তি ও কর্তনের জন্য নির্ধারিত ফরম পূরণসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি সংগ্রহ করবেন।আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধন কেন্দ্রে নিবন্ধন (বায়োমেট্রিক গ্রহণসহ) করা হবে। এ সময়ে ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যাদের জন্ম অথবা বিগত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে বাদ পড়েছেন তাদের নিবন্ধন করা হবে।
উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে ভোটার এলাকা স্থানান্তরের আবেদন গ্রহণ, মৃত ভোটারদের নাম কর্তনের তথ্যাদি এবং নতুন ভোটারের তথ্য বাংলাদেশ ভোটার রেজিস্ট্রেশন সফটওয়ার (বিভিআরএস) সফটওয়্যারের সাহায্যে ডাটা এন্ট্রি ও ডাটা আপলোড করা হবে ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে।আগামী ৫ মে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ কর্তৃক খসড়া ভোটার তালিকার পিডিএফ প্রস্তুত ও সিএমএস পোর্টালে লিংক সরবরাহ করা হবে।এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ২ ডিসেম্বর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ভোটার তালিকা হালনাগাদে ২০২৫ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।আইন অনুযায়ী চলতি বছর হালনাগাদের যেসব তথ্য সংগ্রহ করা হবে, তা অন্তর্ভুক্ত করে হালনাগাদ খসড়া ভোটার তালিকা করা হবে। এ খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী বছরের ২ জানুয়ারি। আর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী বছরের ২ মার্চ। তবে ইসি যেকোনো সময় ভোটার তালিকা সংশোধন করতে পারে।