রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রায় পিছিয়ে তৈরি পোশাক খাতঢাকাসহ ৫ বিভাগে বৃষ্টির আভাস, অব্যাহত থাকবে তাপপ্রবাহপ্রতিদিন মা হারাচ্ছে ৩৭ ফিলিস্তিনি শিশুস্কুল-মাদ্রাসা খুলছে আজ, বন্ধ থাকছে ২৫ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানআজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস
No icon

তফসিল নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল নিয়ে এবারে ভিন্ন চিন্তা করছে নির্বাচন কমিশন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার আগেই রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের চিন্তা করছে ইসি। এ ক্ষেত্রে ৫ নভেম্বর দুই আসনের উপনির্বাচন শেষ হলেই সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের চিন্তা করা হচ্ছে। এরপর রিটার্নিং অফিসার নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকার কাজ গুছিয়ে আনলে নির্বাচন কমিশন ভোটের দিন তারিখ (সময়সূচি) ঘোষণা করবে। কমিশনের নির্ধারিত নির্বাচনি সূচির বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবেন। এজন্য এবারে নভেম্বরের প্রথম দিকে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ হলে আর মাঝামাঝিতে ইসি ভোটের দিনতারিখ ঘোষণা করবে।এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন একজন নির্বাচন কমিশনার। গতকাল সকালে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, জনগণ নির্বাচন চায়। মানুষ জানতে চায় কবে ভোট হবে। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল হতে পারে। ডিসেম্বরের শেষ অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট হবে।

ভোট ঘিরে বিবদমান রাজনৈতিক মতানৈক্যের পরও পরিবেশ ভালো রয়েছে বলে মনে করেন তিনি, ভোটের পরিবেশ ভালো আছে। আমি কোনো সমস্যা দেখি না। আরপিওর নির্বাচন অধ্যায়ের ৭ ধারায় বলা হয়েছে, কমিশন প্রত্যেক নির্বাচনি এলাকা হইতে কোনো সদস্য নির্বাচনের উদ্দেশ্যে উক্ত এলাকার জন্য একজন রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করিবে; এবং কোনো ব্যক্তিকে দুই বা ততোধিক নির্বাচনি এলাকার জন্য রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করা যাইবে। অন্যদিকে ১১ ধারায় বলা হয়েছে, সংসদ গঠনকল্পে নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে কমিশন, সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রত্যেক নির্বাচনি এলাকা হইতে একজন সদস্য নির্বাচনের জন্য ভোটারগণকে আহ্বান করিবেন এবং উক্ত প্রজ্ঞাপনে প্রত্যেক নির্বাচনি এলাকার জন্য তারিখ সুনির্দিষ্টভাবে উল্লিখিত থাকিবে- (ক) যে তারিখের পূর্বে প্রার্থীগণের মনোনয়নপত্র জমা প্রদান করা যাইবে; (খ) মনোনয়নপত্র বাছাই করিবার জন্য এক বা একাধিক তারিখ; (গ) যে তারিখের পূর্বে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাইবে; এবং (ঘ) ভোটগ্রহণের জন্য এক বা একাধিক তারিখ যাহা প্রার্থিতা প্রত্যাহারের তারিখের অন্তত পনেরো দিন পরে হইবে।ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারি প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ভোট করার কথা ইতোমধ্যে কমিশন জানিয়ে আসছে। নভেম্বরে তফসিল ঘোষণার জন্য সিরিজ বৈঠকে বসছে কমিশন।

ইতোমধ্যে নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে ৩০ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর পরই ১ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারের বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে সমন্বয় সভাও ডেকেছে ইসি। এ ছাড়া ২ ও ৩ নভেম্বর ডিসি-এসপিদের দ্বিতীয় ধাপের প্রশিক্ষণ হওয়ার কথা রয়েছে। আগেই এ তারিখ ছিল ২৮ ও ২৯ অক্টোবর। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ব্যক্তিগত ও সংস্থার পক্ষ থেকে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আবেদন আহ্বান করেছে নির্বাচন কমিশন। এ লক্ষ্যে দেশে বিভিন্ন দূতাবাস ও হাইকমিশনের কাছে এ-সংক্রান্ত আবেদন আহ্বানের বিষয়টি অবহিত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, জানুয়ারির প্রথমার্ধে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন হবে। অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর নির্বাচন আয়োজনকারী সাংবিধানিক সংস্থাটি। এমন পরিস্থিতিতে দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার মতো বিদেশি পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমের পর্যবেক্ষণ আশা করছে ইসি। এ ক্ষেত্রে ২১ নভেম্বরের মধ্যে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমের আবেদন জানানোর আহ্বান করা হয়েছে।