প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেনগরমের তীব্রতা কমাতে কী কাজ করেছেন, জানালেন হিট অফিসারবিনা ভোটে নির্বাচিত ৩৩ প্রার্থীসব ধরনের যাত্রীবাহী ট্রেনে ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়েতাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রির বেশি যেসব অঞ্চলে
No icon

নভেম্বরে ভোটের তফসিল

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আট মাস। ২০২৪ সালের জানুয়ারির শুরুতে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি বছরের নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা হতে পারে। এ জন্য সেপ্টেম্বরে শুরু হবে ভোটের মূল তোড়জোড়। সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কবে হবে ভোট গ্রহণ। তবে সব রাজনৈতিক দলকে ভোটে আনতে একাধিক ভোটের তারিখ ও তফসিল প্রস্তুত রাখবে কমিশন। এ ক্ষেত্রে নভেম্বরের শুরুতে তফসিল দিয়ে ভোট গ্রহণের তারিখ পরিবর্তনের সুযোগ রাখা হতে পারে। সবশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনের তারিখ ২৩ ডিসেম্বর থেকে এক সপ্তাহ পেছানো হয়; পরে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ভোট হয়।অন্যদিকে ইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংসদের ৩০০ আসনে ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণের। সে অনুযায়ী কাগজ সংগ্রহসহ অন্যান্য নির্বাচনী মালামাল কেনাকাটার কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়া নির্বাচনকালীন মাঠপ্রশাসন ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের। এ ক্ষেত্রে নির্বাচনের আগেই ডিসি-এসপি ও ওসিদের রদবদল করা হতে পারে। ডিসিরা সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্বে থাকলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে থাকে ভোটের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেন, সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়েছে। তা ধরে সব ধরনের কাজ এগিয়ে চলছে। নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরুর পর সার্বিক বিষয় নিয়ে কমিশন সভা হবে। আমরা কমিশন সভা করেই ভোটের তারিখ জানাব। যথা সময়ে তফসিল ঘোষণা করা হবে।

তিনি বলেন, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ বা জানুয়ারির শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের টার্গেট নিয়ে নির্বাচন কমিশন কাজ করছে। সেই হিসাবে ৪৫ দিন হাতে রেখে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে।আহসান হাবিব খান বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভয়ভীতিহীন, অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু করতে নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ তৎপর। নিজেদের মেয়াদের প্রথম বছরে এ পর্যন্ত যত নির্বাচন হয়েছে তাতে যেখানে বাধা, অনিয়মের অভিযোগ এসেছে সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামীতে সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে আমরা সব সময় আশ্বস্ত করতে চাই। আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টা দিয়ে পালন করব ইনশা আল্লাহ। পাশাপাশি সবার সহযোগিতাও কামনা করি। আশা করি ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হব।ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে একাধিক পরিকল্পনা থাকবে ইসির। প্রথমত, চলতি বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি তফসিল দিয়ে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ভোটগ্রহণ। দ্বিতীয়ত, নভেম্বরের শুরুতে তফসিল দিয়ে ডিসেম্বরের শেষ দিকে ভোট অনুষ্ঠান। এদিকে সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বসে নেই রাজনৈতিক দলগুলোও। তারাও নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছে। নানা হিসাব-নিকাশ চলছে সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়ে। দলগুলো নিজ নিজ প্রার্থী ঠিক করতে পর্যালোচনা করছে।