মেক্সিকোতে ঘূর্ণিঝড় ও ভূমিধসে নিহত ৪৪, নিখোঁজ ২৭সোমবার থেকে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণাসেনা কর্মকর্তাদের বিচার ইস্যুতে নানা আলোচনা, প্রশ্নঢাকায় বৃষ্টির আভাস নেই, যেমন থাকবে তাপমাত্রাশেষ পর্যন্ত এনসিপি ইতিবাচক অবস্থানে আসবে, আশা সিইসির
No icon

হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মেঘনা-গোমতী ব্রিজের টোলের অর্থ আত্মসাৎ, আর্থিক ক্ষতিসাধন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।গতকাল রোববার সংস্থার সহকারী পরিচালক মো. তানজিল হাসান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন শেখ হাসিনা, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ওবায়দুল কাদের, আনিসুল হক, এম এ মান্নান, তৎকালীন সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক, অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক জলিল, উপসচিব মোহাম্মদ শফিকুল করিম, প্রকৌশলী মো. ফিরোজ ইকবাল, ইবনে আলম হাসান, মো. আফতাব হোসেন খান, মো. আব্দুস সালাম, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সিএনএস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুনীর উজ জামান চৌধুরী, পরিচালক সেলিনা চৌধুরী ও ইকরাম ইকবাল।এজাহারে বলা হয়, ২০১৬ সালে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম লিমিটেড (সিএনএস)কে একক উৎসভিত্তিক দরপত্রের মাধ্যমে টোল আদায়ের দায়িত্ব দেয়া হয়। পূর্ববর্তী বৈধ টেন্ডার বাতিল করে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই চুক্তিটি সম্পাদন করা হয়।

সিএনএস লিমিটেডকে টাকার অংকে নয় বরং মোট আদায়কৃত টোলের ১৭.৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জে (ভ্যাট ও আইটি ব্যতীত) কার্যাদেশ দেয়া হয়। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি ৪৮৯ কোটি টাকার বেশি টোল আদায় করে। অথচ ২০১০-২০১৫ মেয়াদে একই সেতুতে যৌথভাবে এমবিইএল-এটিটি কোম্পানিকে টোল আদায়ের দায়িত্ব দিতে খরচ হয়েছিল মাত্র ১৫ কোটি টাকার কিছু বেশি।২০২২-২০২৫ মেয়াদে ইউডিসি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড একই ধরনের প্রযুক্তিতে তিন বছরের জন্য ৬৭ কোটি টাকায় কার্যাদেশ পায়, যা পাঁচ বছরে হিসাব করলে ১১২ কোটি টাকা হয়। ফলে সিএনএস লিমিটেডকে একক উৎসভিত্তিক চুক্তির মাধ্যমে দায়িত্ব দেয়ায় সরকারের ৩০৯ কোটি টাকার বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেদের বা অন্যকে লাভবান করার উদ্দেশ্যে প্রতারণা ও আত্মসাৎমূলক কার্যক্রমে যুক্ত ছিলেন। এ ঘটনায় দ-বিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।