করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে। গতবছর করোনা সংক্রমণ শুরুর পর এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া যায়নি। এ বছরও সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে
করোনা সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবি অবান্তর বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। করোনার কারণে প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবিতে নানা সংগঠনের কর্মসূচি পালনের প্রেক্ষাপটে আজ
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আমরা জানি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা ভীষণ উদ্বেগের মধ্যে আছে। আমরা এটা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করছি। আমরা খুব শিগগিরই সিদ্ধান্তটি জানিয়ে দেবো। আর বেশি দিন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকতে হবে না
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও আমাদের অনলাইন এডুকেশন চলমান রয়েছে। শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে এটাকে আরও জোরদার করতে হবে। কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। দেশের উচ্চশিক্ষার
এবারের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষাও হচ্ছে না। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এই পরীক্ষা বাতিলের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের বাড়ির কাজ দিয়ে মূল্যায়নের মাধ্যমে নতুন শ্রেণিতে তুলে দেওয়া হবে। কাউকে অটোপাশ দেওয়া হবে
করোনা মহামারির কারণে শিক্ষা খাতে অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। আমরা লক্ষ করছি, দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘোষিত তারিখে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আবার যে তারিখ পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে সে তারিখ অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া
দেশে এ মুহূর্তে ৪৯টি সরকারি ও ১০৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যদিও দীর্ঘ করোনা অতিমারি সারা বিশ্বের শিক্ষাব্যবস্থাকে অনেকটা স্থবির করে দিয়েছে। আমাদের অবস্থা আরও করুণ। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের অটোপাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্নাতক দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের মৌখিক অথবা অনলাইন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে