আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসএপ্রিলে ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বৃষ্টি অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টিবজ্রসহ শিলা বৃষ্টি হতে পারে যেসব অঞ্চলে আজ শুরু হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন
No icon

এলসি ছাড়াই হবে আমদানি-রপ্তানি

এবার দেশের ব্যবসায়ীদের কাউন্টার ট্রেড বা প্রতিবাণিজ্য ব্যবস্থায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সম্পাদনের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যবস্থায় কোনো এলসি খোলার প্রয়োজন হবে না। বিদেশি মুদ্রায় একটি বিশেষ হিসাব (স্ক্রু অ্যাকাউন্ট) পরিচালনার মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম নিষ্পত্তির সুযোগ পাবেন ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সম্প্রতি এ নীতিমালার বিষয়ে মতামত চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সিংহভাগই এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) নির্ভর। অথচ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এলসির ব্যবহার প্রায় বিলীন হওয়ার পথে। উন্নয়নশীল দেশেও এলসির ব্যবহার কমে আসছে। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে এ পরিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের বৈদেশিক মুদ্রানীতিতে যথাযথ পরিবর্তন আনার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।এলসি ছাড়া আমদানি-রপ্তানির এ ধরনের কার্যক্রম পার্শবর্তী দেশ ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশেই চালু রয়েছে। এ পদ্ধতিতে আমদানি পণ্যের মূল্য দ্বারা রপ্তানি পণ্যের মূল্য কিংবা রপ্তানি পণ্যের মূল্য দ্বারা আমদানি পণ্যের মূল্য সমন্বয় করার সুযোগ পাবেন ব্যবসায়ীরা। অর্থাৎ কোনো ব্যবসায়ীর আমদানি পেমেন্ট দেওয়া হবে তারই রপ্তানির বিপরীতে পাওয়া বৈদেশিক আয় দিয়ে। বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ব্যাংকিং ব্যবস্থা সুদৃঢ় নয় কিংবা ব্যাংকিং লেনদেনে নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা রয়েছে এমন দেশগুলোতে ব্যবসা সম্প্রসারণে প্রতিবাণিজ্য ব্যবস্থায় বাণিজ্য পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়।

এ ক্ষেত্রে দেশের স্থানীয় পক্ষ ওই দেশের সংশ্লিষ্ট পক্ষের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম হতে সৃষ্ট পরিশোধ নিষ্পত্তিতে প্রয়োজনীয় সহায়কের ভূমিকা পালন করে থাকে। এ ক্ষেত্রে প্রথম ধাপে আমদানি দিয়ে প্রতিবাণিজ্য লেনদেন পরিচালনার অনুমতি দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।  তবে ঢালাওভাবে এ ধরনের বাণিজ্যের সুযোগ দেওয়া হবে না। বরং যেসব দেশে নরমাল ব্যাংকিং ব্যবস্থা নেই বা ব্যাংকিং ব্যবস্থায় পিছিয়ে রয়েছে, সেসব দেশে এ ব্যবস্থায় বাণিজ্য করার অনুমতি দেওয়া হবে।বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ এ মুহূর্তে প্রতিবাণিজ্যে গেলে অন্য দেশ হয়তো ভাববে আমাদের এখন বিদেশি মুদ্রা কম আছে। তাই সে কিছু বাড়তি সুবিধা নিতে চাইতে পারে। কারণ যার দরকষাকষির শক্তি দুর্বল তার তো সুবিধা দিতেই হবে। এ ধরনের প্রতিবাণিজ্যেও অর্থপাচারসহ অন্যান্য ঝুঁকি থাকে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই অর্থপাচারের আশঙ্কা থাকে। আমদানিতে বেশি মূল্য ও রপ্তানিতে কম মূল্য দেখিয়ে অর্থপাচার করা হয়। এ ক্ষেত্রে পণ্যের মূল্য যথাযথভাবে যাচাই করার জন্য ব্যাংকারদেরই আসল দায়িত্বটা নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের এক্সপোর্ট মার্কেট দিন দিন বায়ার্স মার্কেট হয়ে যাচ্ছে। ফলে বায়ার্সরা কম মূল্য দিতে এলসির পরিবর্তে চুক্তিতে আসতে আয়। কারণ এলসিতে খরচ বেশি।