আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসএপ্রিলে ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম বৃষ্টি অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টিবজ্রসহ শিলা বৃষ্টি হতে পারে যেসব অঞ্চলে আজ শুরু হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন
No icon

দ্বিগুণ রপ্তানিতে সুট ব্লেজারে সুদিন

অনেক বছর ধরেই সাধারণ ভোক্তার উপযোগী মৌলিক পোশাক রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে। সাম্প্রতিক সময়ে উচ্চমূল্যের ফ্যাশনদুরস্ত পোশাক উৎপাদন ও সরবরাহকারী দেশের তালিকাতেও যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। টি-শার্ট, পোলো শার্ট, ট্রাউজার, ফরমাল শার্টের মতো গতানুগতিক পোশাকের পাশাপাশি হাল ফ্যাশনের সুট ও ব্লেজারও রপ্তানি হচ্ছে এখন। ১৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০০ ডলারের সুট ও ব্লেজারও রপ্তানি হচ্ছে। তবে কাপড়, রং, সেলাই ও ফিনিশিংয়ে নিখুঁত উচ্চমূল্যের সুট ও ব্লেজার এখনও রপ্তানির মূল প্রবাহে সেভাবে যুক্ত হয়নি। তৈরি পোশাকের মোট রপ্তানি আয়ে পণ্যটির অবদান এক শতাংশের মতো। ১৩টি প্রতিষ্ঠান সুট ও ব্লেজার উৎপাদন ও রপ্তানি করে থাকে। এখনও চীন, জাপান ও তুরস্কের দখলেই রয়েছে সুট ও ব্লেজারের বাজারের বড় অংশ।

সাধারণ পোশাকের চেয়ে দ্বিগুণ রপ্তানি: সুট ও ব্লেজারের বিশ্ববাজার এখন ১৬০ বিলিয়ন ডলারের। এর মধ্যে বাংলাদেশের অংশ এক বিলিয়ন ডলারেরও কম। এখনও সুট ও ব্লেজারের বিশ্ববাজারের মূল প্রবাহে যুক্ত হতে না পারলেও বাংলাদেশ থেকে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে এর রপ্তানি। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে অর্থাৎ প্রথম ছয় মাসে পোশাক খাতের সব পণ্যে গড়ে যে হারে বেড়েছে, সুট ও ব্লেজারের রপ্তানি বেড়েছে তার চেয়ে দ্বিগুণ হারে। ওই সময়ে ৩১ কোটি ডলারের সুট ও ব্লেজার রপ্তানি হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ২১ কোটি ডলার। অর্থাৎ রপ্তানি বেড়েছে ৩২ শতাংশ। এ সময় পোশাকপণ্যের সার্বিক রপ্তানি বেড়েছে ১৬ শতাংশের কম। গত অর্থবছরে সুট ও ব্লেজারে মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৭ কোটি ডলার। তার আগের অর্থবছর হয় ৩৬ কোটি ডলারের মতো। অর্থাৎ এক অর্থবছরে বেড়েছে ১০ কোটি ডলার।

উদ্যোক্তা অনেকে বলছেন, সম্ভাবনা অনুযায়ী এই প্রবৃদ্ধি যথেষ্ট নয়। পোশাকপণ্যে বৈচিত্র্য আনার কথা সরকার ও উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে। সুট ও ব্লেজারের রপ্তানি আরও বেশি হারে বাড়ছে না কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে উদ্যোক্তারা প্রযুক্তি সক্ষমতার অভাবকেই প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাঁরা বলেছেন, বিশেষ ধরনের মোল্ড বা ছাঁচে ব্লেজার উৎপাদন করতে হয়। এ ধরনের প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ টেকনিশিয়ান ও শ্রমিক প্রয়োজন। বাংলাদেশে এর ঘাটতি আছে। চীনা প্রযুক্তি ও টেকনিশিয়ানের সহায়তায় চলছে কয়েকটি কারখানা। ভালো ফিনিশিংয়ের জন্য গ্যাস ও বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহও থাকতে হয়। সাধারণ পোশাকের কারখানার তুলনায় সুট ও ব্লেজার তৈরির কারখানায় অনেক বেশি বিনিয়োগ করতে হয়। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে নতুন করে বিনিয়োগ করার সামর্থ্য অনেক উদ্যোক্তার নেই। তবে ভিন্নমতও রয়েছে কোনো কোনো উদ্যোক্তার।