তানজানিয়ায় ভারী বৃষ্টি-ভূমিধসে নিহত ১৫৫মাসের শুরুতে বৃষ্টির আভাস, গরম কমা নিয়ে সংশয়ইউক্রেনকে দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রআগামীকাল ভারতের লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণশপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি
No icon

বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ভর্তুকি প্রত্যাহারের উদ্যোগ

দেশে বিদ্যুতের দাম গত এক দশকে অন্তত ১২ বার বেড়েছে। কয়েক দফা বেড়েছে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম। তারপরও এ খাতে সরকারের ভর্তুকি অব্যাহত আছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), বাংলাদেশ তেল গ্যাস খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসি) বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় সরকার। ভর্তুকির কারণেই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম সহনীয় পর্যায়ে আছে। ভর্তুকি তুলে নিলে দাম আরও বাড়বে। তবে দাম বাড়ার আশঙ্কা থাকলেও তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের ভর্তুকি থেকে সরে আসার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়।মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে জ্বালানি পণ্যের বাজার আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাইরে দাম বাড়লে দেশের বাজারেও বাড়বে, আবার দাম কমলে দেশের বাজারেও কমবে। অনেক দেশেই এভাবে দাম সমন্বয় হয়।

গত ২১ নভেম্বর পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ে। তারপরও বছরে অন্তত ১৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে। অন্যদিকে চলতি বছরই জ্বালানি তেলের দাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বাড়ানো হয়েছে। তারপরও লোকসানের কথা জানিয়েছে বিপিসি। গত কয়েক বছরে একাধিকার বেড়েছে গ্যাসের দামও। তারপরও আমদানি করা এলএনজি সরবরাহ করতে সরকারকে খরচের প্রায় অর্ধেক টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে।এসব বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, অনেক দেশ আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে জ্বালানির দাম নির্ধারণ করে। দাম বাড়লে বা কমলে সেটা তারা প্রতিনিয়ত সমন্বয় করে।প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন আস্তে আস্তে ভর্তুকি থেকে সরে আসতে হবে। আমরা ওপেন মার্কেটে কবে নাগাদ যেতে পারব, সে বিষয়ে ভাবছি। বিভিন্ন দেশের তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাই করছি।

তিনি জানান, বিদ্যুৎ যারা উৎপাদন করবেন, তারা বিতরণ কোম্পানির কাছে বিক্রি করবেন। বিতরণ কোম্পানি কত দামে বিক্রি করবে, সেটা রেগুলেটরি অথরিটি ঠিক করে দেবে। এখানে আস্তে আস্তে ভর্তুকি থেকে সরে আসতে হবে।নসরুল হামিদ বলেন, ওপেন মার্কেটের একটা সুবিধা হলো, যখন বিশ্ববাজারে দাম কমে যায়, তখন দেশেও কমে যায়। ওপেন মার্কেট থাকলে সরকারের সাধারণত ভর্তুকির বিষয় আসে না। দায়-দায়িত্ব তখন সরকারের কাঁধে সেভাবে থাকে না। প্রতি ব্যারেল তেলের দাম এক সময় ছিল ৭০ ডলার। এখন ১৪০ ডলার। এই দাম সমন্বয় করতে গিয়ে সরকারকে সমালোচনার শিকার হতে হচ্ছে। ফলে মার্কেটের ওপর ছেড়ে দেওয়া ভালো হবে।