টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু মঙ্গলবারদেশে বেকার ২৫ লাখ ৯০ হাজার১৫ অঞ্চলে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাসউপজেলা ভোট নির্বিঘ্ন করতে মাঠে পুলিশ র‍্যাব বিজিবিআগামী শুক্র ও শনি ঢাকায় সমাবেশ করবে বিএনপি
No icon

অর্থনীতিতে অশনিসংকেত

নানামুখী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দেশের অর্থনীতি। করোনায় পর পর দুটি ধাক্কা দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। দক্ষতার সঙ্গে সেটি সামলেও উঠছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এর পরই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রাস্ফীতির ক্রমাগত উল্লম্ফন অর্থনীতিতে সংকট আরও ঘনীভূত করে। দেশীয় মুদ্রামানের পতন অব্যাহত রয়েছে। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ কমে আসছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি, খাদ্য ও শিল্পপণ্যের দাম বৃদ্ধির বিপরীতে রেমিট্যান্স প্রবাহে পতন আরেক আশঙ্কার কারণ। এরই মধ্যে অতিবন্যায় আউশের উৎপাদন কমেছে এবং খরায় আমনের উৎপাদন ব্যাহত করেছে। বন্যা যোগাযোগ অবকাঠামোকে বড় ধাক্কা দিয়েছে। এ ছাড়া আগামীতে আমাদের বড় তিনটি রপ্তানির বাজারে প্রবৃদ্ধি কমার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সব কিছু মিলে আগামী ২০২৩ সালে দেশের অর্থনীতির জন্য এক অশনি সংকেত দেখছেন বিশেষজ্ঞ এবং উন্নয়ন সহযোগীরা।

অক্টোবর মাসের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) জানিয়েছে, আগামী বছর দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমতে পারে। একই সঙ্গে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি কমে ৬ শতাংশ হতে পারে। এ ছাড়া আগামী বছর মূল্যস্ফীতিও বেড়ে ৯ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছাতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে। অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সূচক মূল্যস্ফীতি নিয়ে আরও বলা হয়েছে, মূল্যস্ফীতির চাপই সবচেয়ে নিকটবর্তী হুমকি, যা মানুষের প্রকৃত আয় কমিয়ে দেবে।

কমেছে শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানি : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, গত জুলাই-আগস্টে শিল্পের উৎপাদনের যন্ত্রপাতি আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছে ৪০ কোটি ডলারের, গত বছরের একই সময়ে খোলা হয়েছিল ১১৫ কোটি ডলারের ঋণপত্র। ফলে ঋণপত্র খোলা কমেছে প্রায় ৬৫ শতাংশ। তবে এই সময়ে ঋণপত্র নিষ্পত্তি বেড়েছে প্রায় ৫৫ শতাংশ। কমছে রিজার্ভ : আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব অনুসারে গত ৪ অক্টোবর ৩৬ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার। যদিও এ হিসাব নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। আইএমএফের হিসাবে তা সাড়ে ২৮ বিলিয়ন ডলার।

লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে রাজস্ব আহরণ : চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসেই ৩ হাজার ৩১৯ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে। আদায়ের প্রবৃদ্ধি হলেও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না কোনোমতেই। এনবিআরের তৈরি চলতি অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট মাসের রাজস্ব আদায়সংক্রান্ত প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সামনে আদায় বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করলেও বিদ্যমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে শঙ্কাও প্রকাশ করছেন অনেকে।