সাড়ে ৫ মাস পর হিলি বন্দর দিয়ে শুরু হয়েছে পেঁয়াজ আমদানি।তিন জায়গায় সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ লাগবেতাপপ্রবাহ বইছে দেশের অধিকাংশ জেলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলেন প্রধান সাক্ষীচট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে গেল প্রথম হজ ফ্লাইট
No icon

বাজেট বিশাল, ঘাটতিও

২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ছয় লাখ ৭৯ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার বিশাল বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার। এতে বাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪২ হাজার ৯৪১ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি ধরা আছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। সে হিসাবে আগামী অর্থবছরে ঘাটতি বাড়বে ২৮ হাজার ২৬০ কোটি টাকা। করোনা মহামারী ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে দেশে রাজস্ব আদায় কম হওয়ার জন্য সরকারকে এ পথে হাঁটতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাজেট প্রণয়নে যুক্ত কর্মকর্তারা।আজ রোববার বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠকে বাজেটের এ খসড়া তুলে ধরা হবে বলে জানা গেছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুল মান্নান ও বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ছাড়াও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। আগামী বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরবেন অর্থ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব আবদুর রউফ তালুকদার।

এদিকে বাজেট ঘাটতির পক্ষে-বিপক্ষে অনেক যুক্তি দিয়ে থাকেন দেশ-বিদেশের অর্থনীতিবিদরা। কেউ বলেন, ধার করে বাজেট করলে অর্থের ছড়াছড়ি হয়, মূল্যস্ফীতি বাড়ে এবং ব্যাংক খাতের ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। এ ছাড়া ঋণের বিপরীতে সরকারকে দিতে হয় চড়া সুদ। বাজেটের উল্লেখযোগ্য অংশ ব্যয় হয় সুদ পরিশোধে। ফলে আর্থিক খাতে ঝুঁকি বেড়ে যায়। আবার কেউ বলেন, আয় কম হলে উন্নয়ন কাজের জন্য ব্যয় কমে যায়। ফলে উন্নয়ন কাজে ব্যয় বাড়াতেই করা হয় ঘাটতি বাজেট।উন্নয়ন অর্থনীতি নিয়ে কাজ করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর বলেন, বাজেট ঘাটতি তো থাকবেই। কেননা আমরা আয়কর বাড়াতে পারছি না। এটি কোভিড সমস্যা নয়। দীর্ঘদিন ধরেই এনবিআর প্রত্যক্ষ কর বাড়াতে পারছে না। সরকার প্রতিবছর প্রতিজ্ঞা করছে এবং ভঙ্গ করছে। এ ছাড়া কোভিড থেকে যে পুনর্গঠন প্রক্রিয়া হওয়ার কথা ছিল, সেটি হয়নি। সঠিকভাবে নীতি প্রণয়ন না করায় ব্যক্তি বিনিয়োগ বাড়ছে না। ব্যবসা বাড়ানোর জন্য যারা প্রণোদনা পাওয়ার কথা, তারা পায়নি। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। ফলে ভোগ কমে গেছে।